অফিস সহকারী দিয়ে চলছে কেন্দুয়া পশু হাসপাতালে গাভীগরু’র কৃত্রিম প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা

প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৫

মজিবুর রহমান :
নেত্রকোণার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের অফিস সহকারী কামরুল ইসলামকে দিয়ে বকনা ও গাভী গরু’র কৃত্রিম প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

উপসহকারী প্রাণীসম্পদ কৃত্রিম প্রজনন কর্মকর্তার পদ শূণ্য থাকায় অফিস সহকারীকে দিয়েই দৈনন্দিন কৃত্রিম প্রজনন (সিমেন্স প্রদান) স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

হাসপাতাল সুত্র জানায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ১১ পদের মধ্যে কৃত্রিম প্রজনন কর্মকর্তাসহ ৬ গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। মাসের পর মাস এসব পদ শূণ্য থাকালেও তা পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন কেউ।

কেন্দুয়া উপজেলা একটি কৃষি নির্ভর এলাকা থাকায় ঘরে ঘরে রয়েছে গৃহপালিত পশু হাঁস-মুরগি। গড়ে ওঠেছে ছোট বড় বহু গবাদিপশু ও বয়লার খামার। জনবল সংকটের ফলে এসব খামারিয়া কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। প্রতিদিন গড়ে ২৫/৩৫ বকনা-গাভী গরু প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা (সিমেন্স দিতে) নিতে আসে কেন্দুয়া পশু হাসপাতালে।

প্রজনন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়ে অফিস সহকারী কাজ সারতে হয়েছে। অদক্ষ লোক দিয়ে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করায় একই গরুকে বার বার বীজ গ্রহন করেও গর্ভবতী হচ্ছে এমন অভিযোগ উাঠেছে। তাছাড়া লাম্বিংস্ক্ননসহ আরো জটিল নানান রোগে আক্রান্ত উপজেলার হাজার হাজার গবাদিপশু। কৃষকেরা আক্রান্ত গবাদিপশু নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে ভূগছেন। হাতুরে ডাক্তারই একমাত্র ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের।

এপ্রসঙ্গে কেন্দুয়া কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা: মতিয়র রহমান জানান,তাঁর দপ্তরে সৃষ্ট পদ ১১টি মধ্যে ৬ পদই শূণ্য । ১১ কাজ ৫ জনে কোনভাবেই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। অতি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রজনন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পদটি। প্রতিদিন ২৫/৩০ গরুকে বীজ দিতে হয়। নিরুপায় হয়েই অফিস সহকারী দিয়ে সেবা প্রদান করতে হচ্ছে। তিনি অবশ্য এবিষয় দক্ষ তাই তাকে দিয়ে কাজ করাচ্ছেন দাবী তাঁর । এছাড়াও বেসরকারি একজন আছে তারও সাহায্য নিই। শূণ্য পদ পূরণের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষকে বার বার অবহিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।