অল্প আয়েই সন্তুষ্ট নুরুল ইসলাম
মজিবুর রহমান :
নুরুল ইসলাম। পেশায় একজন রিক্সা চালক। বয়স সত্তরোর্ধ । কয়েক যুগ ধরে প্যাডেল ঘুরায়লেও ভাগ্য ঘুরায়নি।দিন দিন রিক্সা আর তিনি ক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাঁর ব্যবহৃত রিক্সাটি জোড়াতালিতে ভরা। প্লাস্টিক সুতা দিয়ে বেঁধে রেখেছেন বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।তিনি বয়সের ভারে নুজু হয়ে পড়ছেন। সংসার পাতেননি।একমাত্র গর্ভধারিণী মাকে নিয়ে গ্রামে বাড়িতে বসবাস করেন।
সারাদিনে ৪০/৫০ টাকা আয় হয়। মাঝে মধ্যে ৬০/৭০ টাকাও রোজগার হয়। যা আয় হয় তাই দিয়ে চলে মা-ছেলের সংসার। যার কথা বলছি তিনি হলেন নেত্রকোণা কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউপির বাঁশহাটি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাঁশহাটি বাজারে প্রতিবেদকের সাথে দেখা তার। তাঁর জীবনকর্ম ও সংসার জীবন বিষয়ে জানতে চাইলেন তিনি
প্রতিবেদকে জানান, চাকচিক্য ও বিলাশী জীবন নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই তাঁর। আল্লাহ যখন যা রিজিক রেখেছেন তাই খেয়েই সন্তুষ্ট তিনি। এক.ভাঙ্গাচোরা রিক্সা,দুই. প্যাডেল এবং তিন. আমি বুড়া মানুষ। যেকারণে অনেকেই তাঁর রিক্সা চড়েন না। তাছাড়া তিনিও আর আগের মতো শক্তি খাটাতে পারেন না। মানুষের হাট-বাজারে মালামাল বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে সারাদিনে ৪০/৫০ টাকা আয় হয়। মাঝে মধ্যে ৬০/৭০ টাকাও হয়। এই আয়ের মধ্যদিয়ে খানাপিনা সব চলে তাদের।
স্থানীয়রা বলেন, নুরুল ইসলাম একজন সহজসরল মানুষ। তাঁর জীবনযাপনও খুবই স্বাভাবিক। তাকে নিয়ে অনেকেই খুনটুসি করলেও রাগ-অভিমান করে না। করোর কাছ থেকে জোর করে কিছু নেয় না, খায় না, ক্ষতিও করে না। কেউ যদি কিছু খাওয়াইতে জোড়াজুড়ি করেন প্রায় সময় সে বিরক্তিবোধ করতেও দেখা যায়। বাড়িতে থাকার ঘরও ভাল না। জীর্ণশীর্ণ ঝোপড়ি ঘরেই তারা বসবাস করেন।