আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত ছিল-মাও: ছাদেক আহমাদ হারিছ
পূর্বধলা প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ গত ১৭বছর যাবত দেশে ফ্যাসিবাদ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত ছিল। সন্ত্রাস ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর খুনি হাসিনার নির্দেশে লগি বৈঠা দিয়ে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে তাদের সন্ত্রাসী যাত্রা শুরু হয়। পরবতীতে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের হত্যাকান্ড, জামায়াত নেতাদের বিচারকী হত্যাকান্ড, সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তারা ব্যাপক হত্যাকান্ড চালিয়েছে। এসব হত্যাকান্ডের জন্য তাদেরকে মানবতা বিরোধী অপরাধী হিসেবে বিচার করতে হবে।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের প্রকাশ্যে লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাদের হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের বিচারের দাবীতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাও: ছাদেক আহমাদ হারিছ গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত সময়ে ব্যাংকে লুটপাট চালিয়েছে, শেয়ার বাজার লুটপাট করেছে। তারা বিভিন্ন অপকর্ম করতে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করেছে। তাদের কাছে হিন্দুরাও নিরাপদ ছিল না। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডই তার প্রমাণ। আবরারকে হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনগুলিতেও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এসব সন্ত্রাসী কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে। আগামীতে আওয়ামী লীগকেও জনগন নিষিদ্ধ করবে। তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামি চায় আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের মাধ্যমে ইনসাফপুর্ন, কল্যাণ ও গণমুখী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। সেই লক্ষে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পূর্বধলা উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতি করেন পূর্বধলা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুল হক খান নয়ন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা, নেত্রকোনা পৌর শাখার আমীর মোঃ নিজাম উদ্দিন।
পূর্বধলা উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পূর্বধলা উপজেলা জামায়াতে নায়েবে আমীর মো: জয়নাল আবেদীন, পূর্বধলা উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম, হাফিজ উদ্দিন, হিরন্নপট্টি ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবু রায়হান ফকির, ধারা মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমান খান, জামায়াত নেতা মাওঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ মঞ্জুরুল হক, পূর্বধলা উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ওমর ফারুক প্রমুখ।
এ সময় পূর্বধলা উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা সরকার জামায়াত শিবিরকে নির্মূল করার জন্য হামলা, মামলা, জেল, জুলুম, হুলিয়া, লুঠপাট, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন অপহরনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে ছিল। এরপরও জামায়াত শিবিরের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে না পেরে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছিল, দেশের ছাত্র-জনতা গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠানোর পর দেশের জনগন আজ আওয়ামী লীগকেই নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে।