ইকবাল ভূইয়াঃ
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বল্প শুনই গ্রামের এক অসহায় বৃদ্ধা নারী খোদেজা। কিছু জুটলে খান নতুবা না খেয়েই থাকেন এই বৃদ্ধা। জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া ৯০ বছর বয়সী খোদেজার নেই স্বামী-সন্তান।
স্থানীয়দের মতে, খোদেজা যে কতটা কষ্টে জীবনযাপন করেন, তা না দেখে কেউ বিশ্বাস করবে না। এমনকি এই অসহায়ের পাশে এসে দাঁড়ায়নি স্থানীয় প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিরা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খোদেজার নেই স্বামী-সন্তান। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও সেই সংসার স্থায়ী হয়নি বেশি দিন। সংসার ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন খোদেজা। তার নিজের নেই থাকার মতো কোনো বাসস্থান। এই করুণ অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সাইফুল ফকির। তার জরাজীর্ণ বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা হয় খোদেজার। আত্মীয়স্বজন থাকলেও খোঁজ রাখে না কেউ।
স্থানীয় আব্দুল হালিম তালুকদার তার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করেন তাকে। খোদেজাকে খাবার বা টাকা-পয়সা দিলে তা চুরি করে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। তারা আরো জানান,খোদেজা ছোট থাকতেই ছিলেন কিছুটা সহজ সরল প্রতিবেশীরা তাকে খুদবানু হিসেবেই ডাকতেন।সহজ কথাও তিনি বুঝেন না।
খোদেজা বলেন, কত সরকার আইল আর গেল, আমারে কেউ দেখল না। ভাগ্যে জুটলে দুইডা খাই, না জুটলে না খাইয়া থাকি। বাঁচুম আর কয়দিন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রতিবেশী আব্দুল হালিম তালুকদার জানান, খোদেজা মানসিক ভারসাম্যহীন। সে বয়স্ক ভাতা পেলেও এখন তা বন্ধ আছে। যে কয় টাকা ভাতা পায় তা দিয়ে তার জীবন চলে না। বিগত সরকার গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করলেও আশ্রয় হয়নি খোদেজার।
খোদেজার এই অবস্থার খোঁজ রাখেনি জনপ্রতিনিধিরাও। তার দাবি, সমাজের বিত্তবান এবং স্থানীয় প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়ালে ৯০ বছর বয়সী খোদেজার কষ্ট অনেকটাই দূর করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে ২নং শুনই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কল রিসিভ হয়নি।