আটপাড়ায় শাহান আলী সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়টির জরাজীর্ণ  অবস্থা, ঝুঁকি নিয়ে চলতে পাঠদান

প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৪

ইকবাল ভূইয়াঃ
নেত্রকোণার আটপাড়ায় ৮৫ নং শাহান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর বেহাল অবস্থা। যেখানে বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার সর্বোচ্ছ গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষায়, সেখানে গত ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে নির্মিত  স্কুল ভবনটি জরজীর্ন।

ভবনের ছাদের নীচ, এবং ভিমের ঢালাইসহ আস্তরণ ভেঙে পড়ছে ক্লাস রুমে। যেকোন সময় ছাত্র ছাত্রীদের শরীরে আস্তরন পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

গত ১৭ই আগষ্ট ২০২৩ইং ভবনটির দুই রুমের ছাদের দুটো ভিম ভেঙে পড়েছে। আর এক রুমের ভিমটি যেকোন সময় ভেঙে পরবে। এছাড়াও বিদ্য্যালয়ে সুপেয় পানির ব্যাবস্থা না থাকায় দুর থেকে শিক্ষকসহ ছাত্রছাত্রীর পানি সংগ্রহ করতে হয়।বাথরুমে অবস্থা নাজুক, এমনকি চেয়ার, বেঞ্চের ও সংকট রয়েছে। শ্রেণীকক্ষে ছাত্র ছাত্রীদর জন্য নেই কোন বৈদ্যুতিক পাখা।

বিদ্যালয় সংলগ্ন পাকা রাস্তা থাকায় শিক্ষার্থীরা যেকোন সময় সড়ক দুর্ঘটনায় পড়তে পারে, তাই সীমানা প্রাচীর নির্মান অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ের একমাত্র পাঠদানের জন্যে  ভবনটি যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে তাই জরুরি ভিত্তিতে আর  একটি নতুন ভবন নির্মান করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এলাকার অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,স্কুলের শ্রেনীকক্ষের জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে বাচ্চারা স্কুলে যেতে ভয় পায়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ অবস্থার বিষয়ে এসএমসির রেজুলেশন, জরাজীর্ণ ভবনের ছবি, বিদ্যালয়ে অবকাঠামোসহ যাবতীয় বিষয়াদি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পিযুষ কান্তি মজুমদার এঁর সুপারিশ ক্রমে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

ইতিপূর্বে উপজেলা প্রাঃ শিক্ষা কর্মকর্তা  ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়টি আকষ্মিক ভাবে বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করলেও বিদ্যালয়ের সমস্যাদির কোন সমাধান হয়নি।

প্রধান শিক্ষক আরো জানান, গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে শুধু  স্লীপের দুবারে পঞ্চাশ হাজার বরাদ্দ পায়। তবে উপজেলার অনেক বিদ্যালয়েই  সংস্কারসহ  বিভিন্ন কাজে প্রায় ২-৫ লক্ষ টাকাও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর পরেও গত ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩ ইং সর্বশেষ উপজেলা  পরিষদ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসার, ভাইস চেয়ারম্যান গণ  গত ও ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৩-ইউইও, এইউইও  পরিদর্শন এবং ২৪শে ফেব্রুয়ারী ২৪ ইং ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর পরিদর্শন করেন। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পীযুষ কান্তি  মজুমদার উপজেলা প্রকৌশলী আল মুতাসিম বিল্লাহ নতুন ভবন নির্মাণের জন্যে অবহিত করেন।

উপজেলা প্রকৌশলী  আল মুতাসিম বিল্লাহ জানান, আমি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার চাহিদা পেয়েছি। চাহিদা পেয়ে  নতুন ভবন নির্মান এবং বিদ্যালয়ের ছোট খাটো মেরামতে কাজের জন্য ১২লক্ষ টাকার চাহিদা পাঠিয়েছেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, যুগ্ম সচিব, পরিচলক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এক চিঠিতে পরিপত্র জারি করেন যেন ২০০৫ সালের পর নির্মিত ব্যবহার অনুপযোগী ভবনের তথ্য প্রেরণের তাগাদা থাকলেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি।