ইউএনওর হস্তক্ষেপে সেই ১০০ একর জমির বোরো আবাদ শুরু

প্রকাশিত: ১:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪

জাকির আহমেদঃ
পূর্বশত্রুতার জেরে পানির অভাবে নেত্রকোণার মদনে প্রায় ১০০ একর বোরো জমি অনাবাদি ছিল। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনওর হস্তক্ষেপে সেই ১০০ একর জমির বোরো আবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা।

এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এ টি এম আরিফ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান, মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কান্তি সরকার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গসহ দুই পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন,‘পানির অভাবে কৃষি জমি অনাবাদি থাকার বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার বিকেলেই দুই পক্ষের লোকজনকে ডেকেছি। আলোচনা করেই দুই পক্ষের লোকজনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সেচ ছেড়ে জমি আবাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব অল্প সময়েই জমি রোপন করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের গঙ্গানগর ও পরশখিলা গ্রামের মধ্যেস্থলে পরশখিলা গ্রামের ৯৬ শতাংশ ভূমি রয়েছে। ওই ৯৬ শতাংশ ভূমির মধ্যে ২০ শতাংশ ভূমি গঙ্গানগর ঈদগাহ মাঠের নামে দান করেন। কিন্তু গঙ্গানগর গ্রামের লোকজন বাকি জমি গঙ্গানগর বাজারের নামে লিখে দেয়ার জন্য দাবি জানান। পরশখিলা গ্রামের লোকজন দাবি না মানায় দুই গ্রামের মধ্যে বিরাধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত ঈদুল ফিতরের আগে দুই গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে দু’পক্ষের অর্ধশত লোক আহত হলে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

এ দিকে দুইগ্রামবাসী মিলে দুই যুগ ধরে গঙ্গানগর গ্রামের পাশে নদীতে সেচযন্ত্র বসিয়ে হাওরে বোরো ফসল চাষ করে আসছে। কিন্তু চলমান বিরোধের জেরে এ বছর গঙ্গানগর গ্রামের লোকজন পরখিলা গ্রামের লোকজনের বোরো জমিতে সেচের পানি বন্ধ রাখে। ফলে পরশখিলা গ্রামের অর্ধশত কৃষকের প্রায় ১০০ একর জমি পানির অভাবে মৌসুমের শেষ সময়ে অনাবাদি থাকে। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনওর হস্তক্ষেপে সেই ১০০ একর জমির বোরো আবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা।