এই প্রথম নদী রক্ষায় নেত্রকোনায় গণ শুনানি

প্রকাশিত: ৪:৪২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

নেজা ডেস্ক রিপোর্টঃ
নদ-নদী হাওর, খাল বিল খনন এবং জলাশয় রক্ষায় এই প্রথম নেত্রকোনায় গনশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমন গণ শুনানির আয়োজন করে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত উন্মুক্ত আলোচনায় জেলার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ওঠে আসে।

শহরের সাতপাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে এই গণশুনানিতে নির্বিঘ্নে সমস্যা তুলে ধরে কথা বলেন, কৃষক, জেলে, নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা সহ সংশ্লিষ্ট কৃষি, মৎস্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল, পরিবেশবাদী সংগঠন, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দফতরের প্রতিনিধিগণ। গণ শুনানী গ্রহন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান। জেলার নদ-নদী, খাল-বিল এবং হাওরের জীববৈচিত্রের পরিবেশ তুলে ধরাসহ নদী হত্যা না করে বালু উত্তোলন এবং নদীর গতিপথ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রস্তাবনা তুলে ধরেন পরিবেশবিদ সহ কৃষকগণ। প্রথম এমন গণ শুনানীতে সরাসরি কৃষক সহ সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পরিবেশবাদী সহ সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।

শুনানিতে মতামত তুলে ধরেন, কৃষক আব্দুস সালাম, তারা মিয়া, পঙ্কজ দত্ত মজুমদার, নেত্রকোনার শিক্ষা সংস্কৃতি পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলপনা বেগম, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান, বেলার নেটওয়ার্ক মেম্বার ও এআরএফবি’র চেয়ারম্যান মো. দিলওয়ার খান, সেভ দ্যা এনিমেল অব সুসংয়ের সভাপতি রিফাত আহমেদ রাসেল, সাংবাদিক পল্লব চক্রবর্তী, কামাল হোসাইন, অপরাধ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহমুদুল হাসান, সওজের উপ সহকারী প্রকৌশলী শামীম হোসেন ও নাগরিক কমিটির নেত্রকোনার দায়িত্বে ফাহিম রহমান খান পাঠানসহ অন্যরা।

শুনানি শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, আমরা সকলের কাছ থেকে প্রস্তাবনা নিয়েছি। জেলায় নদ-নদী ৯১ টি। তারমধ্যে আন্ত:সীমান্ত পাহাড়ি নদী ৫ টি। খাল রয়েছে ১২৭ টি। এগুলোর সব গুলোকে নিয়েই পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। নদীর গতিপথ ফিরিয়ে দিতে আমাদের জরিপ চলছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মগরা, সোমেশ্বরী, কংশসহ বেশ কিছু নদীর প্রকৃতি বিবেচনায় খনন প্রক্রিয়া চালাতে হবে।