
আমিরুল ইসলামঃ নেত্রকোণা জেলার দুই উপজেলা কেন্দুয়া ও মদনকে পৃথক করে রেখেছে কৈজানি নদী। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করলে বদলে যাবে দুই জনপদের জীবনযাত্রার মান। বেঁচে যাবে হাজারো কর্মঘণ্টা এবং তৈরি হবে দৃঢ় সেতুবন্ধ।
খড়স্রোতা কৈজানি নদীর ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষের চলাচল। শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, কৃষকসহ হাজারো সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন কাজে নদীর এপার ওপার যাতায়াতে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছ।
বর্তমান সরকারের আমলে সারা দেশে উন্নয়নের অংশ হিসেবে নদীটির দুই পাশের মাটির রাস্তা করা হলেও সেতুটি নির্মাণের কোনো প্রকল্প আজও দৃশ্যমান হয়নি। ফলে, লাখো মানুষের প্রাণের দাবি কৈজানি সেতু আদৌ নির্মাণ হবে কি না সে ব্যাপারে সন্দিহান এ এলাকার মানুষ।
মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়ন ও কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের লোকেরা ছোট বড় যানবাহন নিয়ে প্রতিনিয়তই নৌকা যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই পথ দিয়ে চলাচল করে। দুই এলাকার মানুষের জীবন কৃষি নির্ভর হওয়ায় প্রতিনিয়ত গবাদিপশু ও ফসল আনা নেয়া করতে হয় এই পথে।
সাইডুলী নদী ও ধলাই নদীর পানি কৈজানি দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে এর স্রোত পাড়ি দিয়ে বৈশাখ মাসে বোরো ধান ও অন্যান্য ফসল পারাপারে কৃষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কৈজানি ফেরিঘাটে একটি সেতু হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ অনেকাংশেই কমে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, পাকিস্তান আমল থেকে অদ্যাবধি উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি এই এলাকাটিতে।
মদনের নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলেহ্ উদ্দীন ভুইঁয়া, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা খানসহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, গ্রাম হবে শহর। তাই এলাকসবাসীর পক্ষে এই সেতুটি আমাদের দাবি জানাই। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কেন্দুয়ার কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বাবুল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ বলেন, ভাটি অঞ্চলের কৈজানি নদীর ওপর একটি সেতু তৈরি খুবই জরুরি এবং এটি হলে দুই উপজেলার জনপদের সেতুবন্ধন আরো বৃদ্ধি হবে, দূর হবে সকল মানুষের কষ্ট দুর্দশা।