
ইসলামিক জার্নাল ডেস্ক :
হযরত রাসূলে কারীম সা. ইরশাদ করেছেন তোমাদের সেইসব নারীগণ বেহেশতী যারা তাদের স্বামীদেরকে গভীরভাবে ভালোবাসে, বেশি বেশি সন্তান দেয়, যারা তাদের স্বামীদের কাছে বারবার ফিরে আসে, স্বামীরা তাদের প্রতি নারাজ হলে তারা স্বামীদের সমীপে এসে স্বীয় হাত তাদের হাতে রেখে বলে আপনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত পলক বন্ধ করব না, কোন স্বাদ গ্রহণ করব না। আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদীছিছ সাহীহাহ্ হাদীস : ২৮৭
সুবিখ্যাত সাহাবী হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক ব্যক্তি রাসূল সা. কে জিজ্ঞেস করল, (হে রাসূল!) উত্তম নারী কে? রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করলেন যে নারীকে দেখে তার স্বামী প্রীত মুগ্ধ হয়, স্বামীর আদেশের প্রতি অনুগত, যে নারী তার স্বামীর সত্তা ও স্বামীর সম্পদে স্বামীর মত ও রুচির বিরোধিতা করে না।-সুনানে নাসাঈ-৩০৩০
হযরত হুসাইন ইবন মুহসিন (রা.) বর্ণনা করেন, আমার ফুফু আমাকে বলেছেন, তিনি একবার রাসূলে কারীম সা.এর খেদমতে হাজির হলেন। রাসূল সা. বললেন : কে তুমি? তোমার কি স্বামী আছে? আমি বললাম : জ্বী, আমার স্বামী আছেন! ইরশাদ করলেন তার সাথে তোমার সম্পর্ক কেমন? বললাম আমি আমার সাধ্যমত তার আনুগত্যে ও খেদমতে কোন ত্রুটি করি না। হযরত সা. ইরশাদ করলেন। খুব ভালো করে বুঝে নাও, সাবধান! সেই কিন্তু তোমার বেহেশত আবার সেই তোমার জাহান্নাম! তিরমিযি ও আহমাদ, ৪/৩৪১
অন্য একটি বর্ণনায় আছে, রাসূলে কারীম সা. ইরশাদ করেন কোন মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে, রমযান মাসের রোযা রাখে, গুপ্তাঙ্গকে অন্যায়কর্ম থেকে সংরক্ষণ করে এবং তার স্বামীর আনুগত্য করে (মৃত্যুর পর) তাকে বলা হবে বেহেশতের যে দরোজা দিয়ে তোমার মন চায় প্রবেশ কর।’ সহীহ ইবনু হিব্বান-৬৬০
উল্লিখিত হাদীস ক’টির সারমর্ম হলো, একজন বেহেশতী নারীর মধ্যে যেসব গুণ ও বৈশিষ্ট্য থাকা অনিবার্য তাহলো-
১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পাবন্দী করা
২. রমযান মাসের সিয়াম সাধনায় যথাযথ সচেষ্ট থাকা
৩. স্বীয় গুপ্তাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষা করা
৪. স্বামীর প্রতি প্রেম-প্রেয়সী, গভীর প্রেমময়ী হওয়া
৫. অধিক সন্তান প্রসব করা
৬. স্বামীর প্রতি অকুণ্ঠ অনুগত ও তাঁর পছন্দের প্রতি যত্নবান হওয়া
৭. যৌবনে ও বার্ধক্যে স্বামীর প্রতি সেবাপরায়ণা হওয়া।
অন্য একটি বর্ণনায় আছে, একবার রাসূলুল্লাহ সা. কোথাও যাচ্ছিলেন। পথে একটি বাগান পড়ল। লক্ষ্য করলেন বাগানের মাঝে একটি উট পাগল হয়ে ছুটোছুটি করছে। সাহাবীগণের বাধা উপেক্ষা করে রাসূল সা. উটটির কাছে যেতেই উটটি সুবোধ শিষ্যের মতো এসে হযরত সা. -এর পায়ে সিজদা করল এবং তার নিজস্ব ভাষায় কিছু অভিযোগ করল। ভাষা নবীজী সা. বুঝলেন। এবং তার প্রতি যে জুলুম করা হচ্ছে তার নিরসন করলেন। কিন্তু উট রাসুল সা. কে সিজদা করছে দেখে উপস্থিত সাহাবীগণ আরয করলেন হে রাসূল! উট আপনাকে সিজদা করছে? তাহলে তো আমরাই এর অধিক হকদার! হযরত সা. ইরশাদ করলেন শোন, আমি যদি আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সিজদা করার অনুমতি দিতাম তাহলে প্রতিটি নারীকে আদেশ করতাম সে যেন তার স্বামীকে সিজদা করে। তিরমিযী-৪/৩২৩
সারকথা হলো, শুধু পার্থিব জীবনতরী সুশৃংখল সুনিয়ন্ত্রিত ও মধুময় তরঙ্গে চালিত হবার স্বার্থেই স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন নয়, পরকালীন বিজয় কল্যাণ ও মুক্তি লাভের হিসাবেও। তাই জান্নাত প্রত্যাশী, বেহেশতের অনুপম অগণন সুখ ও ভোগে আশাবাদী প্রতিটি মুমিন নারীরই কর্তব্য হলো, পূর্ণ সতর্ক-সন্তর্পণে বিজয়ের এপথে এগিয়ে যাওয়া। আমরা এপথেরই এক সফল উপমাময়ী নারীর প্রভাদীপ্ত কাহিনী তুলে ধরছি সনদ-সূত্রসহ।
হযরত ইমাম শা’বী রহ. বলেন, আমাকে একবার হযরত শুরাইহ্ রহ. বললেন: বিয়ে যদি কর তাহলে বনূ তামীমের কোন নারীকে বিয়ে কর। কারণ, তারা খুবই বুদ্ধিমান এবং সমঝদার। বললাম, তারা যে বুদ্ধিমান এবং সচেতন তার কি কোন প্রমাণ আছে? শুরাইহ রহ. বললেন : সে কথাই বলি, শোন! এক দুপুরের কথা। আমি গিয়েছিলাম জানাযায় শরীক হতে। সেখান থেকেই ফিরছিলাম বনু তামীমের পাশ দিয়ে। পথে একটি ঘর নজরে পড়ল। ঘরের দরোজা খোলা। দরোজায় একজন বুড়ি বসে আছেন আর তার পাশেই এক সুন্দরী রূপসী তরুণী। আমি তাদের কাছে চলে গেলাম । এবং পানি চাইলাম। অথচ আমার তখন তৃষ্ণা পায়নি ।
কেমন পানি আপনি পছন্দ করেন? বুড়ির প্রশ্ন! : সহজে যা দিতে পারেন তাই! বললাম আমি। বুড়ি মেয়েটিকে বলল একে দুধ এনে দাও! কারণ, মনে হচ্ছে লোকটি বিদেশী।
মেয়েটি কে? জানতে চাইলাম ।
বললো জারীরের কন্যা যাইনাব।
জিজ্ঞেস করলাম। বিবাহিতা?
: না, কুমারী, অবিবাহিতা!
: তাহলে একে আমার সাথে বিয়ে দিন !
“কুফুর’ শর্তে দিতে পারি। (যদি বংশ, পেশা, সামাজিক অবস্থান ও আর্থিক মাপে উত্তীর্ণ হও) তাহলে।
আমি ঘরে ফিরে এলাম। দুপুরে খাওয়ার পর বিশ্রাম করতে গেলাম। কিন্তু বিশ্রাম আর হলো না। জোহর নামায শেষে খান্দানের কয়েকজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হযরত আসওয়াদ, হযরত মুসায়্যিব ও হযরত মূসা ইবনু উরফুতা রহ. সহ তরুণীর চাচার বাড়িতে গিয়ে ওঠলাম। তিনি আগমনের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে বললাম আপনার ভ্রাতুষ্কন্যা যাইনাবকে বিয়ে করতে চাই!” তারও এতে দ্বিমত নেই! অতপর সংক্ষেপেই সবকিছু সম্পাদন হলো! কিন্তু পরে আমি জানতে পারলাম- এরা কঠোর হৃদয়ের অধিকারী। আমি ভারি চিন্তায় পড়ে গেলাম। তালাক দিয়ে দেব? শোধালাম নিজেকেই। ভাবলাম, না! তা করব না। আগে কাছে ডেকে দেখি না! যদি আমার কথামত চলে তাহলে তো কোন সমস্যা নেই। অন্যথায় দেখা যাবে!
হে শাবী! সত্যি যদি তুমি তখন আমার পাশে থাকতে! বনূ তামীমের নারীরা তাকে উপহার-উপঢৌকনে ভরে দিচ্ছিল। কি যে উজ্জ্বলতায় প্রাণিত সে দৃশ্য! তারপর তাকে আমার ঘরে বাসরভুবনে প্রেরণ করা হলো।
আমি বললাম নবীজীর সা. এর সুন্নত হলো, কনের কাছে বরের প্রথম সাক্ষাতের সূচনাতে দুই রাকাত নামায পড়ে আল্লাহর দরবারে কল্যাণ কামনা করা এবং কনের অনিষ্টতা থেকে পানাহ্ চাওয়া! একথা বলে আমি নামাযে দাঁড়িয়ে গেলাম। নামায শেষে পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখি সেও নামাযরত!
নামায শেষ! বনু তামীমের নারীরা সদলবলে হাজির। আমাকে আমার গায়ের কাপড় খুলে ফেলতে বলল। খুলে ফেললাম। তারা আমাকে পরতে দিল হলুদ রঙের চাদর। তারপর চলে গেল সকলেই। এখন ঘরে কেউ নেই। নিঃশব্দ নীরবতা। শুধু আমি আর যাইনাব। আমি তার প্রতি হাত বাড়াতে চাইলাম। সে বলল : হে প্রিয়তম ধৈর্য ধরুন! উত্তেজিত হবার তো কিছু নেই! তারপর সে আরও বলল : সকল প্রশংসা আল্লাহ’র! আমি তারই প্রশংসা করছি, স্তুতি গাইছি। সাহায্য চাই তাঁরই দরবারে। হযরত মুহাম্মদ সা. ও তার পরিবারবর্গের প্রতি রহমত ও সালাত কামনা করছি। এতে সন্দেহ
নেই, আমি এক অপরিচিতা নারী। আপনার চরিত্র, স্বভাব, অভ্যাস, রুচি ও চাহিদা সম্পর্কে আমার একবিন্দু ধারণাও নেই। তাই অনুগ্রহ করে আপনি আমাকে আপনার পছন্দের বিষয়গুলো বলে দিন যাতে আমি সেগুলো আঞ্জাম দিতে পারি আর অপছন্দের বিষয়গুলোও জানিয়ে দিন যাতে সেগুলো উপেক্ষা করে চলতে পারি।
সে আরও বলল : আপনি আপনার সম্প্রদায়ের এক নারীকে বিয়ে করেছেন অতঃপর তামীম সম্প্রদায়ের এক নারীকে। তা-ই তো হবে যা আল্লাহ চান! হয়তো কল্যাণ ও সুখিজীবন, নয়তো সু-সুন্দর বিচ্ছেদ। আমার বক্তব্য এইটুকুই! আমি আমার এবং আপনার জন্যে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাইছি!’ তার এই বক্তব্য শোনার পর ভাবলাম, আমাকেও কিছু বলতে হয় । তাই বললাম : “সকল প্রশংসা আল্লাহ’র! আমি তারই প্রশংসা করছি, তাঁরই কাছে সাহায্য চাইছি। হযরত সা. ও তাঁর পরিবার- পরিজনের প্রতি রহমত ও সালাত কামনা করছি। তারপর কথা হলো, তুমি এমন কথাই বলেছ, যদি তুমি নিজে তা মেনে চল তাহলে তোমারই উপকার হবে। যদি এর ব্যতিক্রম কর তাহলে এই কথাগুলোই তোমার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে দাঁড়াবে। আমার পছন্দ এই আর অপছন্দ এই। আমরা এক আছি, যেন একই থাকি! যা ভাল ও সুন্দর তা প্রচার করবে যা মন্দ তা চেপে রাখবে।’
এরপর সে বললো একটি কথা ভুলে গিয়েছিলাম। আপনি আমার আত্মীয়-স্বজন (শশুর-শ্বাশুড়ি)কে কীভাবে দেখেন! তাদের আসা-যাওয়াটা কি আপনার পছন্দ? বললাম: আমি চাইনা তারা আমাকে ক্লান্ত-বিরক্ত করে ফেলুক। আচ্ছা, প্রতিবেশীদের মধ্যে কাদেরকে আপনি পছন্দ করেন যাদেরকে আমি ঘরে প্রবেশ করতে দেব আর কারা এমন আছে যাদেরকে আপনি অপছন্দ করেন বলুন আমি তাদের ঘরে ঢুকতে দেব না!
আমি বলে দিলাম অমুক আমার পছন্দের আর অমুক অপছন্দের। কাযী শুরাইহ্ রহ.বলেন: শা’বী! তার সাথে সেই রজনীটি ছিল আমার আনন্দঘন তৃপ্তিপূর্ণ রাত। সারাটা বছরই আমাকে ভালোবাসার ফুল, আন্তরিকতার সুবাস
দিয়ে আমোদিত করে রেখেছে। আমি তার মাঝে কোন ত্রুটি দেখিনি।
একদিন আমি বিচারালয় থেকে ঘরে ফিরেছি। দেখি এক পৌঢ়া নারী মেয়েদেরকে তালীম দিচ্ছে! জানতে চাইলাম কে? তারা বলল আপনার মুহতারামা শ্বাশুড়ি! আমি ঘরে ঢোকার পর তিনি এসে আমাকে সালাম দিলেন। আমি উত্তর দিলাম এবং বললাম আপনি কে? বললেন আমি আপনার জীবনসঙ্গিনীর জননী!
: বললাম আল্লাহ আপনাকে তাঁর নৈকট্য দান করুন! বেহেশত নসীব করুন।
: তিনি বললেন আপনার স্ত্রীকে কেমন পেয়েছেন?
: বললাম খুবই ভালো, উত্তম স্ত্রী।
তারপর তিনি বললেন : হে আবূ উমাইয়্যা! মেয়েরা দুই কারণেই সাধারণত
বিপথগামী হয়ে থাকে।
১. যখন তারা ‘মা’ হয়ে যায় এবং
২. স্বামীদের পক্ষ থেকে যদি অধিক সম্মান ও গুরুত্ব পায়! যদি কখনো মন্দ কিছু আপনার অনুভব হয়, সংশয় জাগে হাতে বেত তুলে নেবেন। আল্লাহর কসম! মন্দ নারীর চাইতে নিকৃষ্ট কোন সম্পদই মানুষের ঘরে নেই।
বললাম এর প্রয়োজন হবে না। কারণ আপনি তাকে উত্তম শিক্ষা দান করেছেন।
আপনার শশুরালয়ের লোকেরা সাক্ষাৎ করতে আসুক এটা কি আপনি চান?
বললাম : অবশ্যই, যখন খুশি আসবেন
হৃদয় যারা জয় করেছ
তাদের আবার বাধা কিসে!
কাযী শুরাইহ বলেন : তারপর প্রতি বছরই আমার শ্বাশুড়ী আসতেন এবং আমাদেরকে খুবই মূল্যবান পরামর্শ ও নসীহত করে যেতেন।
এভাবে সুদীর্ঘ বিশ বছর কেটেছে আমাদের দাম্পত্যের। সম্প্রীতি ভাব ও আন্তরিকতায় কানায় কানায় পূর্ণ ছিল আমাদের দিনগুলো। কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই আমি তার প্রতি জুলুম করে বসলাম। সত্যিই জুলুম করেছিলাম আমি তার প্রতি।
ঘটনাটি ছিল বড়ই বেদনাদায়ক। ভোর হয়েছে। ফজর নামাযের সময় ছুই ছুই করছে। মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে ইকামতের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আমি ছিলাম মহল্লার মসজিদের ইমাম। মুয়াজ্জিনের ইকামত শোনে যখন আমি ঘর থেকে বের হতে উদ্যত হলাম তখনই লক্ষ্য করলাম, একটি সাপ ছুটে আসছে। আমি হাতের কাছের একটি পাত্র তুলে ছুঁড়ে মারলাম সাপের প্রতি। সাপ আক্রান্ত হলো কিন্তু মরলো না। আমি বললাম যাইনাব! তুমি নড়ো না। আমি নামায পড়ে এক্ষুণি আসছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য। ততক্ষণে স্বপ্নের পায়রা ডানা মেলে উড়ে গেছে অনেকদূর। দ্রুত ছুটে এসে দেখি- প্রেয়সীর সোনামুখ বেদনায় নীল! দংশনে-যন্ত্রণায় বোবা হয়ে পড়ে আছে নিথর দেহ। তার হিমেল বদনে হাত রাখলাম। সূরা ফাতিহা, নাস ও ফালাক পড়ে ফুঁকলাম প্রাণপণে। ওঝা ক্লান্ত! প্রিয়সী শায়িত চিরনিদ্রার কোলে।
ভেতরটা এখনও নড়ে ওঠে তার আনুগত্যের কথা মনে পড়লেই। জীবনটা সঁপে দিল। তবুও আমার কথা রাখতে গিয়ে একবিন্দু নড়াচড়া করল না! যতই ভাবি, নিজেকে জঘণ্য অত্যাচারী মনে হয়। শাবী বিয়ে যদি কর এই খান্দানেই কর । -ইমরা আতুম-মিন আহলিল জান্নাহ ১৫-১৯ পৃ
এইতো বেহেশতী নারী। যাঁদের কথা আলোচিত হয়েছে প্রিয়তম নবী সা. -এর বাণীতে। পার্থিব ভেলকিবাজির পথ ছেড়ে, নশ্বর ক্ষুদ্র-ক্ষণস্থায়ী নষ্ট সুখের রঙিন সভ্যতার ভয়ংকর গলি থেকে চিরন্তন শাশ্বত মুক্তি ও বেহেশতের এই আলোকিত রাজপথে আমাদের সচেতন মা-বোনেরা এগিয়ে আসবেন কি? আহা, সত্যিই যদি তারা সচেতন হতে পারতেন! তারা যদি স্থায়ী-অস্থায়ী, ক্ষুদ্র-অসীম আর নশ্বর-অবিনশ্বরের পার্থক্যটা প্রাণখোলে উপলব্ধি করতে পারতেন!!
লেখক :
মুফতি আতাউল্লাহ বাশার
শিক্ষক, মাদ্রাসায়ে দারুস সালাম, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ।