কথা সাহিত্যিক, মহেষখলা ক্যাম্প ট্রাইব্যুনাল তথা আদালতের বিচারপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকদাদ  চৌধুরী (পর্ব -১)

প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৩
প্রচ্ছদ: অসীম

নেজা ডেস্ক :  
বাংলা একাডেমী ও একুশে পদক প্রাপ্ত প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেত্রকোণা আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম খালেকদাদ চৌধুরী তার আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ “শতাব্দীর দুই দিগন্ত”-এ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভারতের মহেষখলা ক্যাম্পের পরিচালনা কমিটির প্রশাসনিক কার্যক্রম, স্মরণার্থীদের আগমন ও পূনর্বাসনকরণ, ত্রাণ বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা রিক্রটমেন্ট, দালাল ও অপরাধী বন্দিদের বিচারের ব্যবস্থা, রোগ-শোকের বিবরণ ও চিকিৎসা সেবাসহ নানাবিধ কর্মকান্ডের একটি সুন্দর চিত্র অংকন করেছেন । “শতাব্দীর দুই দিগন্ত” বই থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও বিপুল গবেষণা লব্ধ তথ্য নিয়ে এই লেখাটি রচিত হয়েছে।

মহেষখলা ক্যাম্প:
মহেষখলা আশ্রয় শিবির ও মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পটি পরিচালিত হতো সম্পূর্ণরূপে নেত্রকোণা মহকুমা ও সুনামগঞ্জ মহকুমার আওয়ামীলীগ নেতৃত্বদের দ্বারা,  ভারত সরকার বা আন্তর্জাতিক রেডক্রস সংস্থা এর দায়িত্ব নেয়নি। মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প কমিটিই এটির সম্পূর্ণ পরিচালনার কাজ করতো। মুক্তিফৌজ রিক্রট করা (ভর্তি) এবং তাদের আশ্রয় ও প্রাথমিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এ ক্যাম্প কমিটি চালাতো। ট্রেনিং পরিচালনার প্রাথমিক ব্যবস্থা ও তাদের ট্রেনিং ক্যাম্পে পাঠানো (তুরাতে) এবং ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের এখানে ফিরে আসার পর ময়মনসিংহের পূর্বাঞ্চল, সিলেটের পশ্চিমাঞ্চল অভ্যন্তরে আক্রমণ পরিচালনার জন্য নৌকা সংগ্রহ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ সকল রকম দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করতো এখানকার এই ক্যাম্প কমিটি। নতুন ভর্তি করা মুক্তিফৌজদের ট্রেনিং সমাপ্তির পর প্রত্যাগত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা ক্যাম্প ছিলো। এখানেই তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অর্থ সংগ্রহ, রিক্রট ও দেশের অভ্যন্তরে যোদ্ধাদের প্রেরণ, তাদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শরণার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন উপকমিটি গঠন করে বিভিন্ন সদস্যদের উপর ভার দেওয়া হতো। সে উপ কমিটিগুলো তাদের নির্বাচিত কার্য সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতো। ক্যাম্প কমিটি প্রতিদিনই একবার কাজ পরিদর্শন এবং তাদের কাজের সমন্বয় সাধন করতো।

মহেষখলা ক্যাম্পে ট্রাইব্যুনাল তথা আদালত গঠনের প্রয়োজনীয়তা:
মুক্তিযোদ্ধা রিক্রটিং কেন্দ্রটি ছিল মহিষখলা বাংলাবাজারের সন্নিকটে একটি বড় মজবুত টিনের চৌচালা ঘরে। এটি ছিল বাংলাদেশ সরকারের বন বিভাগের কার্যালয়। সেটাকেই রিক্রটিং কেন্দ্রের সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় উপ-কমিটির কয়েকজন ট্রেনিং প্রাপ্ত ও আনসার কমান্ডারের উপর। তাদের ভর্তি হওয়ার পর দুপুর বারোটায় প্রায় দু’মাইল দূরে অবস্থিত ইয়্যুথ ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। এই ঘরটির বারান্দায়ও রিক্রটিং কাজ চলতো সকাল ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। রিক্রটিং অফিসের কাজ দেখার জন্য ক্যাম্প কমিটির সদস্যদের কেউ কেউ মাঝে মাঝে সেখানে যেতেন। খালেকদাদ চৌধুরী ক্যাম্প কমিটির সদস্য হওয়ার পর দিনই তাকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যান। ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান হেকিম চৌধুরী ও ডাঃ আকলাকুল হোসেন এম.পি সাহেব প্রায়ই সেখানে যেতেন।

খালেকদাদ চৌধুরীকে ক্যাম্প কমিটির সদস্য করার পর তাকেও তাদের সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন।খালেকদাদ চৌধুরী মহিষখলা আসার ও ক্যাম্প কমিটির সদস্য হওয়ার দু’দিন পরই তাকে সঙ্গে করে তারা রিক্রটিং অফিসে নিয়ে যান। বিকেল দু’টার পর তারা সেখানে যেতেন। তারা দ্বিতীয় দিন সেখানে যান।  এর কার্য পদ্ধতি লক্ষ্য করেন নিরবে বসে। রিক্রটিং সেন্টারের প্রহরার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ও তা রক্ষণাবেক্ষণের পরিচালক ছিলেন একজন আনসার কমান্ডার।ঐদিন খালেকদাদ চৌধুরী বসে বসে রিক্রটিং এর কাজ দেখছেন এমন সময় প্রহরারত আনসার কমান্ডার (ইনি তারপূর্ব পরিচিত এবং একজন ভাল নাম করা ফুটবল খেলোয়ার ছিলেন। বাড়ী ধরমপাশা। নেত্রকোণা মোহামেডাম টিমের সদস্য ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও সময় সৈনিক ছিলেন। লোকটি খুবই বিশ্বস্ত এবং কর্তব্য পরায়ন) খালেকদাদ চৌধুরীর কাছে এসে কানে কানে বললেন যে হাজতে বন্দী একটি ছেলে চৌধুরীর সাথে দেখা করতে চায়। সে নাকি উনাকে চেনে। জনাব চৌধুরী রিক্রটিং এর কাজ শেষ হওয়ার পর তাকে দেখবার কথা বলেন। এখানে যে একটি হাজত খানা আছে এবং বন্দীদের যে সেখানেই রাখা হয় তা খালেকদাদ চৌধুরী এই প্রথম জানতে পারেন এবং শুনে আশ্চর্য হন।

চারটায় রিক্রুটিং এর কাজ শেষ হতেই সবাই যাওয়ার জন্য সেখান থেকে চলে যান । দর্শণপ্রার্থী যুবকটির কথা মনেই হয়নি। ভিতরের বড় হলটি ছিল ধৃত শত্রু বা সন্দেহ ভাজন ও দালাল বলে কুখ্যাত বন্দীর হাজত খানা। বেশ কিছুদিন পর বিচারের জন্য এদের পাঠিয়ে দেওয়া হতো বিএসএফ ক্যাম্পে।এখানেই সেই ঘরের সামনে সপ্তাহে একটি নির্ধারিত দিনে বাজার ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটির বৈঠক বসত। নেত্রকোণা মহকুমা ও সুনামগঞ্জ মহকুমার হাওড় ও মুক্তাঞ্চলে অবস্থিত হাট-বাজারগুলি ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রাধীন। সেখানকার স্থানীয় লোকেরা বাজার ডাকের নির্দিষ্ট দিনে এখানে এসে উপস্থিত হতো। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে তা নীলামে বিক্রী করা হতো। সর্বোচচ বিডারকে সে সপ্তাহেই সেই নির্দিষ্ট হাট-বাজারের টোল তোলা বা আদায়ের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে তারা নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে দেয়। ইয়্যুথ ও মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের খরচের বেশীর ভাগই বাজারের এই আয় থেকে করা হয়। এছাড়া আওয়ামীলীগের কর্মীরা মুক্ত এলাকার নিজ নিজ থানায় ঘুরে ঘুরে চাঁদা সংগ্রহ করে এনে এখানকার অফিসে জমা দিয়ে যেতো। তাও ছিল বেশ আশাপ্রদ এবং তা ক্যাম্প পরিচালনার কাজে ব্যয় হতো। এগুলিই ছিল ইয়্যুথ ও মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের ব্যয় নির্বাহের অন্যতম প্রধান সহায়ক।

খালেকদাদ চৌধুরী দু’দিন পর আবার সেখানে যান। কাজ শেষে চারটার দিকে ফিরে যাবার জন্য উঠবার উপক্রম করতেই আনসার কমান্ডার খালেকদাদ চৌধুরীকে সেদিনের যুবকটির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। খালেকদাদ চৌধুরী অন্যদের একটু অপেক্ষা করতে বলে দাঁড়ান। পাশের দরজা খুলে দেওয়া হয়। যুবকটি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। খালেকদাদ চৌধুরী ব্যাপার কি জানতে চান। কান্না জড়িত কন্ঠেই তার পরিচয় দিয়ে বলে যে,সে আটপাড়া থানার একজন অধিবাসী। নুরী সাহেব তাকে ধরিয়ে এনে এখানে বন্দী করে রেখেছে। কারণ জিজ্ঞেস করলে বলে যে সে নাকি একজন দালালের ছেলে এবং নেত্রকোণা ব্যাঙ্ক লুটের অনেক টাকা নাকি তার কাছে আছে এবং তার গ্রামেরই আর একটি ছেলেকে খুন করেছে। সে খালেকদাদ চৌধুরীকে চেনে। যে পরিচয় সে দিল তাতে জনাব খালেকদাদ চৌধুরী চিনলেন।

তার বাবাকে ভাল করেই চেনেন। এদের সঙ্গে গ্রাম্য দলাদলিতে সেই নিহত ছেলের বাবা ছিলো তার বাবার প্রতিদ্বন্ধী। তবে খুনের সঙ্গে সে জড়িত ছিল কি না জানা ছিল না। বিষয়টি সম্বন্ধে ভালো করে জানবার চেষ্টা করার কথা বলে বিদায় হতে যাবেন এমন সময় আর একটি লোক (গাল ভরা দাঁড়ি) খালেকদাদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে চায়। সেও জনাব চৌধুরীকে চেনে। তাকে পূর্বেও দু’একবার দেখেছেন। কিন্ত তখন তার দাঁড়ি ছিল না। সে জনাব চৌধুরীদের গ্রামের তার এক প্রতিবেশী আত্মীয় বলে পরিচয় দেয়। সেই নাকি এই ক্যাম্প খোলার সময় থেকে একজন মুক্তিফৌজ হিসাবে আসে এবং এ পর্যন্ত অনেক কাজ তাকে করতে হয়েছে ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা ও তার পরিচালনার কাজে সাহায্য করার জন্য। আন্তরিকভাবে ও সততার সঙ্গে সে তা করেছে। কিন্তু  কিছু দিন আগে তাকে নিরস্ত্র করে বন্দী করে রাখা হয়েছে। নুরী সাহেবের কাছে বিষয়টি জানবার কথা বলে বিদায় নিতে গেলে একটি বাড়ীর কথা উল্লেখ করে বললো যে সেখানে তার মা আছেন। তাকে দেখে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। দু’তিন দিন পর তার মার সঙ্গে দেখা করে যে কথা শুনলেন তা সহজে বিশ্বাস করতে পারলেন না। তবু রাতে শুবার সময় ডাক্তার সাহেবের (ডাঃ আকলাকুল হোসেন আহমেদ) কাছে ব্যাপারটা জানতে চাইলেন। তিনি যে কথা বললেন তা আনসার কমান্ডারের মার কথার সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করে তাকে এ ব্যাপারে কিছু করা দরকার বলে মত প্রকাশ করায় তিনি বললেন যে এ ব্যাপারে তিনিও চিন্তা ভাবনা করছেন এবং সেখানে যে সব অবাঞ্চিত ব্যাপার ঘটেছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিলেন। এবং এসব ভেবেই জনাব খালেকদাদ চৌধুরীকে আনার জন্য তিনি তার ভাতিজা বুলবুলকে পাঠিয়েছিলেন। নেতৃস্থানীয় আরো কয়েকজন এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছেন। এরপর ডাঃ আকলাকুল হোসেন আহমেদ বললেন যে, খালেকদাদ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা   আসায় তারা এখন এসব বন্ধ করার চেষ্টা নেবেন । ক্যাম্প কমিটির অনেকের মতও তাই।বেশ কিছুদিন পর ক্যাপ্টেন চৌহান একদিন এখানে এসে যান। তারা পরামর্শ করলেন যে বাংলাদেশের অনেক লোককে দালালী ও লুটতরাজের অজুহাতে বন্দী করে রাখা হয়েছে এবং এর সংখ্যা বর্তমানে কমে এলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। এদিকে হাজতেও স্থান সংকুলান হচেছ না। যখনই এরূপ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে তখনই বন্দী কিছু লোককে বিএসএফ এর হাতে বিচারের নামে সোপর্দ করে দেওয়া হতো। এরা ফিরে আসেনি কোনদিন। তবে সবার ধারণা যে ওদের হত্যা করা হয়েছে।

মহেষখলা ক্যাম্পে ট্রাইব্যুনাল তথা আদালত গঠনের বিষয়ে ক্যাপ্টেন চৌহানের সাথে বৈঠক:
তখন আলোচনা করে  সিদ্বান্ত নেওয়া হলো যে ক্যাপ্টেন চৌহানকে সবাই মিলে অনুরোধ করে বন্দীদের  বিএসএফ এর নিকট পাঠানোর আগে এদের সম্বন্ধে সত্যাসত্য জানবার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হবে। সেইদিনই বিকালে ক্যাপ্টেনের সঙ্গে তারা  ক’জন দেখা করেন। ডাঃ সাহেব, হেকিম চৌধুরী এবং আরও কয়েকজন তাতে প্রস্তাব জানালে ক্যাপ্টেন অল্পক্ষণ চিন্তা করেই বললেন, যে শুধু অনুসন্ধান নয় আপনারা এক কাজ করুন, একটি ট্রাইবুনাল গঠন করে তাদের বিচার সেই ট্রাইবুনালেই করবেন এবং আপনাদের রায়ই হবে চুড়ান্ত। এর মধ্যেই আপনারা ট্রাইবুনাল গঠন করে আমাকে(ক্যাপ্টেনকে) লিখিতভাবে জানান। আমি(ক্যাপ্টেনকে)  তা অনুমোদন করব। এরপর আরো কিছুক্ষণ অন্যান্য  ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করে তারা বিদায় হন।

মহেষখলা ক্যাম্পে ট্রাইবুনাল তথা আদালতের বিচারপতি নির্বাচন:
পরদিন ক্যাম্প কমিটির সদস্যদের এক সভা আহবান করা হয়, ট্রাইবুনাল গঠনের ব্যাপারে। একজন সদস্য মোহনগঞ্জের আওয়ামীলীগের সম্পাদক আঃ কদ্দুছ ট্রাইবুনালের সদস্য হিসেবে ডাঃ আখলাক হোসেন, আঃ হেকিম চৌধুরী ও খালেকদাদ চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। ছাতকের এমপি শামসু মিয়া ও আরও একজন সদস্য তা সমর্থন করেন। সভায় কিছুক্ষণ নিরবতা অবলম্বন করে এক সময় হেকিম সাহেব বলেন, তিনি একাই ট্রাইবুনালের কাজ চালাবেন। সঙ্গে সঙ্গে সদস্যরা আপত্তি করে। একজন তো বলেই ফেলে যে এতবড় দায়িত্বপূর্ণ কাজ যাতে একটি লোকের জীবন মরণের প্রশ্ন তা একজনের উপর ছেড়ে দেওয়া যায় না। তা ছাড়া ট্রাইবুনালের অর্থই হলো তিনজন নিয়ে গঠিত বিচারক মন্ডলী। তবুও হেকিম সাহেব তর্ক জুড়ে দেন। তখন সবাই এক বাক্যে প্রস্তাবের সমর্থন করায় তিনি চুপ করে যান। শেষটায় সর্বসম্মতভাবে এই প্রস্তাব হয় যে ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যানই পদাধিকার বলে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান থাকবেন। এই প্রস্তাব করা হলে তাও যথারীতি সমর্থিত হয় ও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়। চলবে…

বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী:
(নেত্রকোনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি, সাবসেক্টর কমান্ডার,মুজিব বাহিনী বা বাংলাদেশ মুক্তিফৌজ বা বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স সংক্ষেপে (বি এল এফ), নেত্রকোনা প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১, নেত্রকোণা জেলা-এর সহ সভাপতি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট)

এই লেখকের লেখা আরও পড়ুন……
ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতি ও ৭১’- র মুক্তিযুদ্ধ : বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
শহীদ মেহের আলী একটি নাম, একটি ইতিহাস : বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
নেত্রকোণায় বঙ্গবন্ধু: বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক : বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
নেত্রকোণার রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ মরহুম জননেতা আব্দুল খালেক এমপি
জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে শিশু সংগঠন কচি-কাঁচার মেলা : বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
নেত্রকোণা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ইতিহাস : বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী

More read…
নেত্রকোনার শহীদ বুদ্ধিজীবিবৃন্দ : ইন্জীনিয়ার জামান
মুক্তিযোদ্ধার আত্মকথা : বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শামছুজ্জোহা- প্রিয়ঙ্কর বিশ্বাস তন্ময়

আরও পড়ুন…..
মুক্তিযুদ্ধের একনিষ্ঠ সংগঠক: ডা: আখলাকুল হোসাইন আহমেদ- অধ্যাপক ননী গোপাল সরকার
স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানী শহীদ মেহের আলী  (পর্ব-১)
স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানী শহীদ মেহের আলী (পর্ব-২)
স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানী শহীদ মেহের আলী  (পর্ব-৩)
স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানী শহীদ মেহের আলী  (পর্ব-৪)
স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানী শহীদ মেহের আলী  [৫ম (শেষ) পর্ব]