
‘প্রতিবাদ’
মোঃ শাহিন আলম
যদি আর সূর্য উদয় না হয়!
তবে কি শেষ হবে ধরণী?
হয়তোবা কিছুদিন টিকে থাকবে ধরনী।
সেই টিকে থাকা দিনগুলোতে ও
অন্যায়কে পুড়িয়ে ছাই করা হবে
প্রতিবাদের বারুদ দিয়ে।
যদি সেকেন্ডের পর সেকেন্ড ,
মিনিটের পর মিনিট
দিনের পর দিন
রাতের পর রাত
যুগের পর যুগ
শতাব্দীর পর শতাব্দীও কেটে যায়!
ধরনী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় আইন,
ধরনী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় আদালত
ধরনী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় কারাগার।
তবুও বিলপ্ত হবে না প্রতিবাদ।
তবুও টিকে থাকবে প্রতিবাদ।
যদি অমৃত পান করে কেউ অমর বনে যায়!
যদি অমরত্বের আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়,
তবে প্রতিবাদের অশ্রুতে সেই আগুন নিভিয়ে
অমরত্বের যম হয়ে অমরকে মৃত্যু চেনাবে।
যদি সত্যকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়!
মানুষের মস্তিষ্ক থেকে প্রতিবাদ শব্দ মুছে ফেলা হয়!
তবে প্রতিবাদের ধারে সেই ফাঁসির রশিটা কেটে
পুনরায় মানুষের মস্তিষ্কে প্রতিবাদ শব্দ সংরক্ষিত করা হবে।
যদি প্রতিবাদকে রুখে দেওয়ার জন্য,
ধরনীর সমস্ত রাইফেল
ধরনীর সমস্ত কামান
ধরণীর সমস্ত নিউক্লিয়াস বোমা
এমনকি গোটা ধরনীটাও সামনে রাখা হয়।
তবুও পিছুপা হবে না প্রতিবাদ
তবুও ভয় পাবে না প্রতিবাদ
তবুও হেরে যাবে না প্রতিবাদ
তবুও দুর্বল হবে না প্রতিবাদ।
বরং সমস্ত কামান, নিউক্লিয়াস বোমা এই ধরণী;
প্রতিবাদের গর্জনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাবে।
যদি কালো জাদুর মন্ত্র দিয়ে প্রতিবাদকে মাটির নিচে পুতে দেওয়া হয়।
তবে প্রতিবাদ সেই জাদু ভেদ করে লাথি মেরে
মাটি সরিয়ে ফিরে আসবে আবার এই ধরনীতে।