কলমাকান্দায় বড় মেয়ের জামাইকে হত্যার অভিযোগ শ্বাশুড়ি, শালী,ভায়রার বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৪

কলমাকান্দা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বড় মেয়ের জামাইকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের শ্বাশুড়ি, শালী ও ভায়রার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনাটি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামে দক্ষিণ পাড়ায় ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. ফরিদ মিয়া (২৮) । ওই গ্রামের মো. হাশিম উদ্দিন ও মো. ফরিদা খাতুন দম্পতির একমাত্র ছেলে। সে পেশায় একজন ইটভাটার শ্রমিক।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার একই ইউনিয়নের একই গ্রামের প্রতিবেশী নিহতের শ্বাশুড়ি আনোয়ারা (৫৫) , তাঁর ছোট মেয়ে কুলসুমা আক্তার ময়না (১৯) ও জামাই ছায়েদ আলী (২২) ।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার একই ইউনিয়নের একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত আবু সিদ্দিকের বড় মেয়ে ফাতেমার সঙ্গে দুই বছর আগে ফরিদের বিয়ে হয়। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তার নাম হাসাইন। বয়স তার পাঁচ মাস। ফরিদ কুমিল্লায় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের সর্দার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সেই সুবাদে বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো। নবজাতক সন্তান নিয়ে ফরিদের শ্বশুর বাড়ীতে স্ত্রী ফাতেমা থাকতো। সে সময় ফরিদ তাদের বাড়ীতে থাকা একটি সৌরবিদ্যুৎ খুলে তার শ্বশুর বাড়ি (ফাতেমার) থাকার ঘরে লাগিয়ে দেন। এর মধ্যে প্রায় মাস খানেক হবে স্ত্রী ফাতেমা তার পুত্র সন্তান নিয়ে অন্য এক পুরুষদের সাথে বাড়ী পালিয়ে যায়। ফরিদ তার ইটভাটা থেকে গত বৃহস্পতিবার ভোরে কলমাকান্দা উপজেলার নিজ বাড়ীতে আসেন ।

আজ শুক্রবার সকালে খাবার খেয়ে ফরিদ তার শ্বশুর বাড়িতে যান। এসময় শ্বাশুড়ি আনোয়ারাকে আপনার বড় মেয়ে ফাতেমা আমার পুত্র সন্তানকে অন্য এক পুরুষদের সাথে বাড়ী পালিয়ে গেছে। এখন আমার দেওয়া সৌর বিদ্যুৎ ফেরৎ দেন। এনিয়ে তার শ্বাশুড়ি আনোয়ারা , কুলসুমা আক্তার ময়না ও ভায়রা ছায়েদ আলীসহ বাড়ীতে থাকা লোকজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান । এক পর্যায়ে বাড়ীতে থাকা সবাই মিলে ফরিদের ওপর চড়াও হন। পরে খবর পেয়ে ফরিদের স্বজনরা দৌড়ে এসে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন পাল বলেন , হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ফরিদের মৃত্যু হয়েছে। পরে থানা পুলিশকে দেওয়া হয়।

কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, আমরা খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করি। ঝগড়ার পরে হাসপাতালে গেলে তার মৃত্যু হয়। তবে শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ময়নাতদন্তের পর বুঝা যাবে স্ট্রোক নাকি অন্য কিছু, আমরা তিনজনকেই আটক করেছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। শুনেছি তার নিজের দেয়া সোলার নিয়ে আসার সময় ঝগড়া হয়েছে। স্ত্রী যেহেতু সন্তানকে নিয়ে চলে গেছে তাই তার জিনিস নিয়ে আসছিলো। তখন বাধা দেয়ার বাগবিতন্ডা হয়।