কেউ অবিচার-জুলুমের শিকার হলে আমাকে জানাবেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমাধান হবে
মজিবুর রহমান, কেন্দুয়া থেকে :
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেছেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারে নেতাকর্মীরা গত ১৭ বছরে আমাদের জানমালের ওপর যে লুটতরাজ, অত্যাচার নির্যাতন করেছে এর বদলা হিসেবে আমরা কিছুই করেনি। যারা আমাদের ওপর জুলুম নির্যাতন করেছে তাদের বিচার জাগতের মালিক আল্লাহ করেছেন। ছাত্রজনতার জনরোষে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের দোষরদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা আক্রোশ হয়ে তাদের কোন ক্ষতি করবো না। আইনের কাজ আইন করবে। যারা বিএনপির নেতাকর্মীদের জানমালের কোন ক্ষতি করেন নাই, তাদের কোন ভয় নাই। আপনারা নির্ভয়ে চলাফেরা করুন। আপনাদের কোন সমম্যা হলে আমার ০১৯১৯-০০১৯৪৯ নম্বরে কল করে জানাবেন। ইনশাল্লাহ, ২৪ ঘন্টার মাধ্যে সমাধান করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে নির্বাচনী এলাকা নেত্রকোণা-৩ আসনের কেন্দুয়া উপজেলার চিথোলিয়া খেলার মাঠে চিরাং ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এখন নির্বাচন আসতেছে অনেকেই দলের মনোনয়ন লাভের আশায় ঘুরাফেরা শুরু করবে। নানান আশার বাণী শোনাবেন। এগুলোতে কান দেবেন না। তাদেরকে জিজ্ঞাস করবেন ১৭ বছর যে আপনারা মামলা, হামলায় জড়জড়িত ছিলেন তখন তারা কোথায় ছিল? আমি জেল-জুলুম মাথায় বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রাম ও সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিলাম। সারাজীবন থাকবো।
সাবেক এই ছাত্রনেতা আরো বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় থাকায় দলের হাইকমান্ড প্রিয়নেতা তারের রহমান আমাকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। ৩ বার দলের মনোনয়ন পেয়েছি। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলার দ্বায়িত্বশীল বিএনপি নেতারা আমাকে সহায়তা না করে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষ নিয়েছিল। এরপরেও আমি ৮৭ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। কেন্দুয়া উপজেলার নেতাকর্মীদের ওপর ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকার যে অত্যাচার নির্যাতনে বাংলাদেশের মধ্যে রেকর্ড। কেন্দুয়া উপজেলার ১০ হাজার ৭শত নেতাকর্মীর নামে ৪৫টি মামলা দিয়েছে স্বৈরচারী হাসিনা সরকার। এরপরেও আমরা মাঠে ময়দানে ছিলাম পালিয়ে যাইনি।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম মস্তুফা ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মাহাবুব আলম জরিপের সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন,কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন খান মিল্কী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মজনু, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর মেম্বার, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন আহমেদ খোকন,উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, উপজেলার কৃষক দলের আহবায়ক, মাহাবুর রহমান মহসিন,
উপজেলার যুবদলের আহবায়ক মাইনউদ্দিন, সেচ্ছাসেবক নেতা ইউসুফ খান পাঠান, ছাত্র নেতা সাইফুল ইসলাম শান্তি,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম ভূঁইয়া প্রমূখ। কর্মীসভায় দলের নেতাকর্মী উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।