কেন্দুয়ায় আওয়ামীলীগের ১৪৮ নেতাকর্মী নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা

প্রকাশিত: ১:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৪

মজিবুর রহমানঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় আওয়ামীলীগের ১৪৮ নেতাকর্মী নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ( ২১ আগস্ট) কেন্দুয়া মধ্য বাজারের ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজহারে প্রধান আসামী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নেত্রকোণা-৩ আসনের সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিলকে।

অন্য আসামীরা হলেন অসীম কুমার উকিলের স্ত্রী সাবেক এমপি ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী অপু উকিল, উপজেলা আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভূঁইয়া, যুগ্ন সম্পাদক কামরুল হাসান ভূঁইয়া, সভাপতি এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূঁইয়াসহ আওয়ামীলীগ, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যানদের আসামী করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ২০০/৩০০ জনকে।

মামলার এজাহারে বাদী বলেন, তিনি একজন বি.এন.পি পন্থী লোক বিদায় দীর্ঘদিন যাবত আসামীগণ তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসিয়া বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন করতো। ঘটনার দিন ও সময়ে প্রধান আসামীর নেতৃত্বে সকল আসামীগণ এক হইয়া দেশীয় অস্ত্র রামদা, লোহার রড, চাপাতি ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রের সজ্জীত হইয়া মিছিল সহকারে আমার দোকানের সামনে আসিয়া প্রধান আসামী হুকুম দেয় যে এই দোকানঘরটি ভাঙ্গিয়া ফেল। হুকুম পাওয়ার সাথে সকল আসামীগণ তাঁর দোকান ঘরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া দোকান ঘরের ভিতরে মালামাল কুপাইয়া বাইরাইয়া ভাংচুর করতঃ আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাইয়া ত্রাস সৃষ্টি করিলে রাস্তায় থাকা লোকজন প্রাণ ভয়ে ছুটাছুটি ও দৌড়াদৌড়ি করিয়া পালাইতে থাকে। এ সময় ২০নং আসামী রাতুল হক বাবু বাদীর দোকানে সুপার শফের ক্যাশ বাক্স ভাংগিয়া নগদ তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা চিনাইয়া নেয়। ৪নং আসামী কামরুল হাসান ভূঁইয়া দোকানের বিকাশের ক্যাশ বাক্স ভাংগিয়া নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা চিনাইয়া নিয়া যায়, ২৮ নং আসামী ফারুক ও ৩৬ নং আসামী জুলহাস দোকান ঘরে থাকা সিঙ্গার ফ্রিজ একটি ভ্যান গাড়িতে তুলিয়া নিয় যায়। যাহার মুল্য অনুমান ত্রিশ হাজার টাকা, ২১নং আসামী ইকতিয়ার হোসেন দোকানে রক্ষিত একটি কম্পিউটার, মনিটর, পিসিসহ নিয়া যায় যাহার মূল্য সত্তর হাজার টাকা,তাঁর দোকানে থাকা বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক ও গিফট সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের যেমন- হাত ঘড়ি, দেয়াল ঘড়ি, বাচ্চাদের দুধ, সপিজ সহ অনুমান পঁচিশ লক্ষ টাকার মালামাল অন্যান্য আসামীগণ লুট পাট করিয়া নিয়া যায়।আসামীগণ সন্ত্রাসী কায়দায় আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ও অবনতি ঘটাইয়া তাঁর দোকানঘর কুপাইয়া, বাইরাইয় ভাংগিয়া ত্রাসের সৃষ্টি করিয়া লুট পাট করে এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করিয়া চলিয়া যায়। মামলা দায়ের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ।