কেন্দুয়ায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর নামে আরো দুই মামলা
মজিবুর রহমানঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পৃথক ঘটনায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে আরো দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা ওলামাদল সহসভাপতি হাফেজ আতাউর রহমান কাদেরী ও বলাইশিমুল গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুব আলম বাদী হয়ে এই মামলা দু’টি দায়ের করেছেন।
এরআগে নেত্রকোণা-৩ আসনের সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিলকে প্রধান আসামী করে ৪ শতাধিক নেতাকর্মী নামে একটি দ্রুতবিচার আইনের মামলা দায়ের করেন কেন্দুয়া মধ্য বাজারের ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন।
সুত্রে জানায়,গত ৫ সেপ্টেম্বর হাফেজ আতাউর রহমান কাদেরী বাদী হয়ে যে মামলাটি রুজু হয়েছে ওই মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আসাদুল হক ভূঁইয়াকে। ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামী করা হয়েছে ১০৫ জনকে। বেআইনী জনতাবদ্ধে অনধিকার প্রবেশ করে সাধারণ ও গুরুত্বর জখম করা সহ ক্ষতিসাধন ও জনমনে ভীতি বা আতংক সৃস্টি করা সহ আর্থিক ক্ষতি সাধনের হীন উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য (ককটেল) বিস্ফোরন করা এবং সহায়তার অপরাধে মামলাটি রুজু হয়। এঘটনাটি ২০১৪ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পৌরশহরের সায়মা শাহজাহান একাডেমী ভোট কেন্দ্রে ঘটেছিল।
এই মামলার ২৫ নম্বর আসামী হিরন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এরআগে এই মামলার প্রধান আসামী আসাদুল হক ভূঁইয়াকে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় তাকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মাহাবুব আলম বাদী হয়ে সোমবার ( ৯সেপ্টেম্বর ) দ্রুতবিচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম (৭০) কে। মামলার এজাহারে ২৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ২০/৩০ জনকে। এঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বলাইশিমুল ভোট কেন্দ্রে।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী নামে এ পর্যন্ত ৩টি মামলা থানায় রুজু হয়েছে। আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছি বাকি আসামীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।