কেন্দুয়ায় আশার শিক্ষা কর্মসূচির অভিভাবক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মজিবুর রহমান :
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বেসরকারি এনজিও আশার শিক্ষা কর্মসূচির আওতাধীন পাঠদান কেন্দ্রসমূহের অভিভাবক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আশার রোয়াইলবাড়ি শাখার উদ্যোগে সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজের হলরুমে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বাবুল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আশার ময়মনসিংহ ডিভিশনের সিনিয়র এডুকেশন অফিসার মো.আলমগীর।
সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রেরের সপ্তম শ্রেনি শিক্ষার্থী সৌরভী ও অষ্টম শ্রেনি শিক্ষার্থী ছোঁয়ার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ার উদ্দীন হিরন। এসময়
অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক জহিরুল ইসলাম আকন্দ, গভনিং বডির সদস্য নজরুল ইসলাম,আশার জেলা শিক্ষা অফিসার আশিকুল্লাহ,আশার কেন্দুয়া অঞ্চলে আরএম নজরুল ইসলাম, আশার রোয়াইলবাড়ি শাখার ম্যানেজার কামরুল ইসলাম, আশার কর্মকর্তা বাধন, নাসিমুল আলম, মুখলেছুর রহমান,পলাশ মিয়া প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে আলমগীর বলেন,পিছিয়েপড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে দুই ভাগে এবং নিন্ম মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ট থেকে অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত প্রতি ক্লাশে ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলতি বছরের
ফেব্রুয়ারী মাস থেকে এই শিক্ষা কর্মসূচী শুরু করে খ্যাতিমান এনজিও আশা। নেত্রকোনা জেলা জন্য এটি একটি পাইলটিং প্রকল্প।
আশার রোয়াইলবাড়ী শাখা ও জেলা শিক্ষা অফিস এই পাঠদান পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। যা দেখলাম তাতে নিঃসন্দেহ বুঝা যাচ্ছে শিক্ষকদের আন্তরিকতায় শিক্ষার্থীদের আচরণগত ও পড়াশুনার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। আমি সত্যিই অভিভূত হয়েছি। আপনাদের সার্বিক সহযোগীতা পেলে আগামীতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে শুরু করেছিলাম। এখন হাইস্কুলে। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আপনার বাচ্চার ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখতে হবে। যারা সত্যিকারের স্বপ্ন দেখেন তারা সফল হয়। আমরা আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সঙ্গী হবো।
সভাপতির ভাষণকালে অধ্যক্ষ বাবুল আহমেদ বলেন, সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে শিক্ষার্থীর জন্য ভাল কিছু করতে পারা অনেক আনন্দের। মাত্র ৮ মাসের পরিচর্যায় এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের যে অগ্রগামী হয়েছে আমি অভিভূত এবং আশ্চর্য হয়েছি। তিনি আশার শিক্ষা টিমকে ধন্যবাদ ও আশার এনজিও কর্মকর্তাদের ককৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপস্থিত অভিভাবকেরাও তাদের সন্তানদের সফলতা দেখে খুশি হয়েছেন।
সভায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পারফরমেন্স উপস্থাপনা করা হয়। সেরা শিক্ষার্থী, সেরা পাঠক, সেরা উদীয়মান, সেরা ভাল কাজ, সর্বোচ্চ উপস্থিতি, সেরা হাতের লেখা, সেরা বিনয়ী, সেরা সৃজনশীলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগীতে ৩২জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারের মধ্যে ছিল স্কুল ব্যাগ, নাম ও বিদ্যালয়ের ছবি সংবলিত পানির পট, মেডেল, ক্রেস্ট ও খাতা কলম।