কেন্দুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
মজিবুর রহমান:
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসারের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর প্রকল্পের ১৯ জন শ্রমিক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, নওপাড়া ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পে ১২৫ জন শ্রমিক রয়েছে। এরমধ্যে নিয়মিত কাজ করেন ৩০ জন। কিন্তু ১২৫ জনের নামেই টাকা উত্তোলন করা হয়।
এছাড়া যে ৩০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন তাদেরকেও পুরো টাকা থেকে ১৫ দিনের টাকা দেওয়া হয় এবং ২৫ দিনের টাকা চেয়ারম্যান নিয়ে যান।
সর্বশেষ গত ঈদ উল আজহার আগে ও পরে দুইবার বিল উঠানো হলেও ওই ৩০ জন শ্রমিকের মোবাইল নম্বরে কোনো টাকা যায়নি। তাদের সিম পরিবর্তন করে সাকুল্য টাকা চেয়ারম্যানসহ তার নির্ধারিত দু-একজন ইউপি সদস্যকে নিয়ে আত্মসাত করেন।
গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে শ্রমিকরা টাকা চাইতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসারের কাছে গেলে তিনি তাদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন বলেও অভিযোগ বলা হয়।
শ্রমিকদের দল নেতা মো. সেলিম মিয়া বলেন, ১২৫ জন শ্রমিকের মধ্যে আমরা ৩০ জন নিয়মিত কাজ করি। অন্যরা কাজ না করলেও তারা টাকা পায় এবং চেয়ারম্যান সে টাকা নিয়ে নেন। আমরা কাজ করলেও কখনই আমাদের ৪০ দিনের টাকা দেওয়া হয় না। বড়জোর ১৫ দিনের টাকা রেখে বাকী টাকা চেয়ারম্যানকে দিয়ে দিতে হয়। টাকা না দিলে বাদ দিয়ে দিবে বলে। তাই আমরা বাধ্য হয়েই কম টাকা নেই। কিন্তু গত দুই পর্বের ৮০ দিনের টাকা আমরা পাইনি। আমাদের সিম পরিবর্তন করে চেয়ারম্যান সে টাকা আত্মসাত করেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসার বলেন, যারা নিয়মিত কাজ করে তারা সবাই টাকা পেয়েছে। আর যারা কাজ করেনি তারা পায়নি। অভিযোগকারী শ্রমিকরা কেউই কাজ করেনি। তাই তারা টাকাও পায়নি। আর সিম পরিবর্তন করে টাকা তোলার কোনো সুযোগ নেই। কারণ শ্রমিকদের নিজস্ব মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে আমি ঢাকায় আছি এবং ছুটিতে আছি। তবে আমি এসেই বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।