কেন্দুয়ায় ওয়াই গ্রামের দক্ষিণে আ*গুন উত্তরে ব্যবসায়ী খু*ন
মজিবুর রহমানঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পল্লীতে একই রাতে গ্রামের দক্ষিণপাড়া অগ্নিকান্ড ও উত্তরপাড়ায় নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছ।
এঘটনাটি শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই গ্রামে ঘটেছে। দুইটি ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা সেনাসদস্য সৈনিক আরিফুজ্জামান বাড়ির কাচারি ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়েছে ঘরসহ একটি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য মালপত্র।স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণ হয়।
এদিকে একই রাতে, একই গ্রামের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা ৬৫ বছরের বৃদ্ধ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তারা মিয়া ফকির নিখোঁজ হয়। তিনি স্থানীয় বাশাটি বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করিতেন। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে কাঁচামাল নিয়ে বিক্রির জন্য স্থানীয় বাশাটি বাজারে যান তারা মিয়া। এদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও তিনি বাড়ি ফেরেননি। স্বজনেরা রাতভর খোঁজাখুজি করেন। পরে স্থানীয়রা সকালে এলাকার সাতারখালি খালপাড়ে তারা মিয়ার ক্ষত বিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। তাঁর মৃতদেহের গলা, চোখে, মুখে কানে অনেক জখমের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ দু’টি ঘটনায় এলাকায় মিশ্র গুণজন চলছে। তারা মিয়ার ফকিরের নৃশংস হত্যা কাণ্ড নিয়ে এখনো কেউ মূখ খুলছেন না। তবে সহজসরল বৃদ্ধ এই মানুষটিকে কেন এইভাবে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে হতবাক এলাকাবাসী।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, তারা মিয়ার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল তাদের জানা নেই। কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে প্রাথমিক ভাবে তা ধারণা করতে পারছেন না তারা।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয়রা সকালে সাতারখালি খালপাড়ে তারা মিয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দেন। মৃতদেহের গলা, চোখে, মুখে কানে অনেক জখমের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা পিবিআইয়ের সদস্যরাও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। থানায় মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।