কেন্দুয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দিবসেও বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক
মজিবুর রহমান :
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে এক বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে না প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক। কিছু দিবসে তারা পালা বদল করে উপস্থিত থাকলেও পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণের দায়সারা প্রোগ্রাম দিয়ে বিদ্যালয়ের অনুপস্থিত থাকেন প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক।
এঘটনাটি কেন্দুয়া পৌরশহরের ঐতিহ্যবাহী জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সুত্র জানায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করার কথা।
কিন্তু পৌরশহরের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসব পালন হলেও জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিল ব্যতিক্রম। কয়েকজন শিক্ষক আর অল্পকিছু ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের আনন্দ র্যালীতে অংশগ্রহণ করেই অনুষ্ঠানের ইতি টানেন।
অভিযোগ রয়েছে জাতীয় দিবস গুলোতেও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম উপস্থিত থাকেন না।
বিদ্যালয় সুত্র জানায়, চলতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রধান শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম ছিল অনুপস্থিত। মহান ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধান শিক্ষক ছিল অনুপস্থিত দুপুরে বিদ্যালয়ে হাজির হয় সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম।
অন্যদিবস গুলোতে তারা পালা বদল করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও নববর্ষের দিন দু’জনই উপস্থিত থাকায় শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়।
এবিষয় কথা হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম জানান তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে ছিলেন। প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রশাসনের র্যালী অংশগ্রহণ করেছে। অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিও ছুটি নিয়েছেন দাবী করেন। এবিষয় জানতে চাইলে মাধ্যমিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সরকারি স্কুল তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। এটি দেখভাল করে মাধ্যমিকের উপপরিচালক।
ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেব।
এবিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ময়মনসিংহের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনই খুঁজ নিচ্ছি।