কেন্দুয়ায় চেক-আপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর সেবা নিয়ে ভুক্তভোগীর অভিযোগ
কিন্তু এক্সরে ছিল একেবারে সাদা এবং একটি পরীক্ষার রিপোর্টের আগেই ডাক্তার বলেন, ফুসঁফুসে সমস্যা রয়েছে
মজিবুর রহমান :
কেন্দুয়া পৌরশহরের চেক-আপ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর সেবা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ উঠেছে।
সঠিক সেবা না পেয়ে ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা এ অভিযোগ তুলেছেন। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ব্যাহত ও সেবার মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অভিযোগকারী ওই রোগীর ছেলে ছিলিমপুর গ্রামের ব্যবসায়ী হলুদ মিয়া জানান, গত ২৬জুলাই শনিবার তার মা রিনা আক্তারকে (৫০) তিনি ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। গেলে তাকে বিভিন্ন এক্সরেসহ ০৪টি পরীক্ষা দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা ওইখানে না থাকলে সেটিও দেওয়া হয়। পরীক্ষা বাবদ তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা গ্রহণ করেন সেন্টারের পরিচালক। ০৪টি পরীক্ষার মধ্যে ওই দিনই ০৩টি সম্পন্ন ও এক্সরে সেন্টার থেকে সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হলে ডাক্তার সৌরভ পাল এন্টিবায়োটিকসহ নানা ঔষধ লিখে দেন। কিন্তু এক্সরে ছিল একেবারে সাদা এবং একটি পরীক্ষার রিপোর্টের আগেই ডাক্তার বলেন, ফুসঁফুসে সমস্যা রয়েছে।
ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওইদিন রাত থেকেই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওই রোগী ঔষধ সেবন করা শুরু করলে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। পরেরদিন ওই রোগী নিয়ে ছেলে হলুদ মিয়া কেন্দুুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে পুনরায় এক্সরে করিয়ে ঔষধ লেখে দেন। সে চিকিৎসায় অবশ্য ফুঁসফুসের সমস্যা পাওয়া যায়নি।
রোগীর ছেলে হলুদ মিয়া জানান, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী নিয়ে এইভাবে মানুষ হয়রানি হচ্ছে। এখানে যে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই তাও লিখে দিয়ে টাকা রাখা হয়। এবং ডাক্তারের ব্যবস্থার পর সে রিপোর্ট করিয়ে আনা হয়। যা কোনমতেই সঠিক সেবার পর্যায়ে পড়েনা।
এ বিষয়টি গতকাল বুধবার কেন্দুয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেবেন বলে ভুক্তভোগীকে আশ্বাস প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে চেক-আপ ডায়গনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোমেন খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, এক্সরেটা পরিষ্কার আসেনি। যার টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রোগীর ছেলে নেয়নি। আর চিকিৎসা আমি করিনি চিকিৎসা করেছেন ডাক্তার। সে বিষয়ে ডাক্তারই বলতে পারবে।