কেন্দুয়ায় নিখোঁজ যুবকের ৭দিনও মেলেনি খোঁজ, চরম উৎকণ্ঠায় পরিবার
মজিবুর রহমান :
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ৭দিন ধরে শাহিন মিয়া (২২) নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ শাহিন মিয়া কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউপির রাজনগর গ্রামের মোঃ ইনচাঁন ছেলে।
সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়ায় চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মাঝে । নিখোঁজের ঘটনায় অবশেষ ৬দিন পর জিডি গ্রহণ করেছেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার পুলিশ ।
সুত্র জানায়, উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউপির রাজনগর গ্রামের ইনচান মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (২২) গত ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁর অসুস্থ চাচাকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার দেখিয়ে চাচাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে শাহীন মিয়া থেকে যায় ময়মনসিংহ শহরে বোনের বাসায়।
পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বোনের বাসা থেকে বাড়ি উদ্দেশে রওনা দেন শাহীন। ওই দিন দুপুর ১টার দিকে তার মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে শম্ভুগঞ্জে পর্যন্ত এসেছেন পরিবারকে জানায়।
এরপরে তাকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যা ৬:২০ দিকে ফোন রিসিভ করে জানায় নান্দাইল চৌরাস্তায় আছি বাড়ীতে আসিতেছি। কিছুক্ষন পর থেকে শাহিন মিয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন।
পরে তাকে সম্ভব্য স্থানে খোঁজাখুঁজির শুভাকাঙ্ক্ষীরা সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে পোস্ট করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা আইনি সহায়তার নিজ থানায় (জিডি করার জন্য) কেন্দুয়া থানা গেলে সেখান থেকে পাঠানো হয় ময়মনসিংহের নান্দাইল থানায়। সেখানেও ব্যর্থ হয় এবং নান্দাইল থানার পুলিশ নির্দেশে দেয় ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় যাওয়ার জন্য। উক্ত ঘটনা ভিকটিমের ভাই তার চাচাতো মামা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সার্জেন্ট কাজী আলমকে অবগতি করে।
পরবর্তীতে ২৭/০৯/২০২৪ তারিখে ভিকটিমের ভাই কে নিয়ে সার্জেন্ট (অবঃ) কাজী আলম ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় গিয়ে ওসি তদন্তকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করা হলে তাদেরকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করানোর পর বলেন যে, লাস্ট কল করেছে কিশোরগঞ্জ থেকে।
কিশোরগঞ্জ থানায় গিয়ে জিডি করার পরামর্শ দেন। একই দিনে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্তের নির্দেশে আবার কিশোরগঞ্জ থানায় যায় ভিকটিমের ভাই, সেখানে ও ব্যর্থ। কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের নির্দেশ দেয় ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানায় যাওয়ার জন্য। চার (৪) থানায় ঘুরেও আইনি সহায়তা না পেয়ে আরো হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন শাহীনের পরিবারের লোকজন। শাহীন নিখোঁজ ও থানা পুলিশের বিষয়টি তার চাচাতো মামা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সার্জেন্ট কাজী আলম তার সেনাবাহিনীর উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি অবগত করেন।তখন সেনা কর্মকর্তা মুঠো ফোনে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্তকে জিডি না করে হয়রানি করার কারন জানতে চান।ভবিষ্যতে আর কাউকে হয়রানি না করে ভুক্তভোগীদের সেবা করার নির্দেশনা দেন।
অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সার্জেন্ট কাজী আলম জানান,একজন মানুষ নিখোঁজ হলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হবে স্বাভাবিক বিষয়। সে অবস্থায় যদি থানায় থানায় ঘুরে আইনি সহায়তা না পাওয়া দুঃখজন ঘটনা। অবশেষে তিনি নিজে ২৯ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা গেলে পুলিশ জিডি গ্রহণ করেছেন।