কেন্দুয়ায় বিষ প্রয়োগে ১২০০ হাঁসের মৃত্যু, ২ লাখ টাকা ক্ষতির দাবি, থানায় অভিযোগ
মজিবুর রহমানঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনায় স্থানীয় একজন হাঁস খামারির ১২০০টি হাঁস বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। এঘটনাটি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বেজগাতী গ্রামে ঘটে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মো. সন্তোষ মিয়া (৬৫) থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রে সন্তোষ মিয়া উল্লেখ করেন, তিনি কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বেজগাতী গ্রামের বাসিন্দা এবং একজন হাঁস খামারি। তার খামারে মোট ২১০০টি হাঁস রয়েছে। প্রতিদিনের মতো তিনি গতকাল সকালে তার হাঁসগুলো খাবারের জন্য বাড়ির সামনে অবস্থিত বেজগাতী হাওড়ের মুসলেম উদ্দিনের পতিত জমিতে ছেড়ে দেন।
তিনি জানান, হাঁসগুলো পানিতে নেমে সঙ্গে সঙ্গে ছটফট করতে করতে মারা যেতে থাকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১২০০টি হাঁস মারা যায়। আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে উপস্থিত হন এবং ভয়াবহ দৃশ্যটি প্রত্যক্ষ করেন।”
অভিযোগকারীর দাবি, পূর্ব শত্রুতার জেরে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা ওই জমির পানিতে পূর্ব থেকেই বিষ মিশিয়ে রেখেছিল। হাঁসগুলো সেই বিষাক্ত পানি পান করেই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাঁসগুলোর প্রতি পিসের বাজার মূল্য ১৭০ টাকা হিসেবে মোট ক্ষতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ৪ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, বেঁচে যাওয়া ৯০০টি হাঁস অন্য জমিতে যাওয়ার কারণে বিষক্রিয়ার শিকার হয়নি।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা.সাখাওত হোসেন তারিক। তিনি ঘটনার পর্যবেক্ষণ ও মৃত হাঁসগুলোর প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ নমুনা সংগ্রহ করেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, যেটুকু দেখেছি তাতে মনে হচ্ছে হাঁসগুলো ভাইরাসে নয়, বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। আমরা মৃত হাঁসের নমুনা সংগ্রহ করেছি তা ল্যাবে পাঠাবো। রিপোর্ট এলেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে এমন ঘটনায় স্থানীয় খামারিদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। তারা দাবি জানিয়েছেন, এ ধরনের নিন্দনীয় ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক।