কেন্দুয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদে বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টার দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মজিবুর রহমান :
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় হামলা চালিয়ে কোচিং সেন্টার ও দোকানপাটের ব্যাপক ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ।
এঘটনাটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার আশুজিয়া ইউপির আশুজিয়া জে এন সি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মোড়ে অগ্রণী কোচিং সেন্টার ও দুটি দোকানপাটে ঘটে।
ময়লাপানির ড্রেন নিয়ে তর্কে জড়িয়ে স্থানীয় কওমি মাদ্রাসা আশুজিয়া দারুল উলুম বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মাসুম আহমেদের নির্দেশে ছাত্ররা এই ন্যাক্কাজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ভুক্তভোগী ফারুক আহমেদ হেলাল অভিযোগ করেন। এঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তার পশ্চিম পাশে দারুল উলুম বাংলাদেশ নামে কওমি মাদ্রাসাটি স্থাপিত ওপর পাশে অগ্রণী কোচিং ও দোকানপাটের অবস্থান। স্থানীয় উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবক ফারুক আহমেদ হেলাল নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ওপর প্রায় এক যুগ আগে অগ্রণী কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষাসেবা প্রদানের পাশাপাশি পাশেই একটি ঘরে ফার্মেসি ও বিকাশ রকেটে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। সম্প্রতি সময়ে মাদ্রাসার ময়লাপানির ড্রেন নিয়ে কোচিং সেন্টারের মালিক হেলাল ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের মাঝে দুরুত্ব চলে আসছিল। হামলা ও ভাংচুর নিয়ে উভয়পক্ষ একেঅপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
ছাত্ররা কোচিং সেন্টার ও দোকানপাট ভাংচুরের কথা স্বীকার করে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা মাসুম আহমেদ জানান, কোচিং সেন্টারের মালিক হেলাল সকালে মাদ্রাসার অজু গোসলের পানি যাওয়ার ড্রেন বন্ধ করে দিলে ছাত্রদের সাথে তর্কে জড়ায় হেলাল। এক পর্যায়ে তিনি সবছাত্রদের মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে ঢুকিয়ে দিয়ে হেলাল গংদের সাথে কথা বলতে থাকেন। এমন সময় তিনি লক্ষ করে দেখেন হেলাল ওইখানে নেই। সে পিচন গিয়ে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ঢিল ছুড়েন এবং ৪ জন ছাত্র আহত হয় এই দেখে অন্য ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী ফারুক আহমেদ হেলাল জানান, মাদ্রাসার টয়লেটের ময়লাপানির ড্রেনটি আমার জমির ওপর দিয়ে গেছে। ময়লাপানির বিশ্রী দুর্গ্ধে কোচিং সেন্টারে থাকা যায় না। অনেকদিন ধরে নিষেধ করেও কোন সারা পাচ্ছি না। মাদ্রাসা বড় হুজুর মাসুম আহমেদ নির্দেশে আজ ছাত্ররা দেশীয় অস্ত্র ও লাটিসোটা নিযে তার দোকানপাটে ও কোচিং সেন্টারে আক্রমণ করে। হামলাকারীরা এসময় দোকানের মূল্যবান জিনিষপত্র, কম্পিউটার,ল্যাপটপ আসবাবপত্রে ব্যাপক ভাংচুরসহ নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে দাবী করেন হেলালের মামা।
এলাকাবাসী জানায়, মাদ্রাসা ময়লাপানির ড্রেন নিয়ে
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে হেলালের সঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের কথার কাটাকাটি চলার এক পর্যায়ে মাদ্রাসা ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে কোচিং সেন্টার ও দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে । তারা এই ঘটনায় বিষ্মিত ও হতবাক হয়েছেন। তারা ঘটনার নিন্দাসহ উপযুক্ত শাস্তিও দাবী করেন।
এব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হবে।