কেন্দুুয়ায় গৃহবধূকে খুনের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
২৭ জুলাই রাত ১১ থেকে পরেরদিন সকাল ৭টার মধ্যে স্বামীর গৃহে দেশীয় বা ভোতা অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাথার মগজ বের করে ফেলে। একপর্যায়ে আলামত নষ্ট করতে শাপলার মৃতদেহ আগুন ধরিয়ে দেয়
মজিবুর রহমান :
নেত্রকোণার কেন্দুুয়ায় গৃহবধূ শাপলা আক্তারকে (২৮) খুনের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার মধ্য রাতে নিহতের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এই হত্যা মামলাটি রুজু করেন।
মামলায় নিতহ গৃহবধূ শাপলার স্বামী মুকলোখাত হোসেন ওরফে মুকলাদ হোসেন (৪০) কে প্রধান আসামী করা হয়েছে। ওই মামলায় ৭ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এজাহার নামীয় মুকলোখাত হোসেন ওরফে মুকলাদ হোসেন (৪০),তার ছোট ভাই মোজাহিদ হোসেন (২৭) ও ফারজানা আক্তার শিবলী (৩০) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, গত ৮ মাস হয় মাসকা ইউপির কীর্তনখলা গ্রামের মতি মিয়া কন্যা শাপলা আক্তার সাথে একই উপজেলার মোজাফরপুর ইউপির মোজাফরপুর ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের বিদেশ ফেরত মুকলাদ হোসেনে বিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন…
কেন্দুুয়ায় গৃহবধূ খুন
সম্প্রতি আমার বোনের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায় স্বামীর এক ভাগনে এজাহার নামীয় আসামী প্রণয়।
এ নিয়ে প্রায় সময়ই চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারের জন্য তাদেরকে চাপ দিতেন নিহত শাপলা। এই বিষয়টি ভালভাবে মেনে নিতে না পেরে স্বামীর পরিবারের লোকজন বোন শাপলাকে হত্যা করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
এরই জেরে ২৭ জুলাই রাত ১১ থেকে পরেরদিন সকাল ৭টার মধ্যে স্বামীর গৃহে দেশীয় বা ভোতা অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মাথার মগজ বের করে ফেলে। একপর্যায়ে আলামত নষ্ট করতে শাপলার মৃতদেহ আগুন ধরিয়ে দেয়।
এতে শাপলার মৃতদেহের বিভিন্ন অংশে জ্বলাসে যায়। আসামীরা খুনি, গুন্ডা, হিংস্র ও লোভী প্রকৃতির লোক হিসেবেও এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন।
স্বর্ণালংকার চুরি ছাড়াও পরকীয় সম্পর্কের জেরেও এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে একটি সুত্রে জানা গেছে। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাদের থানার পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেছেন।
কেন্দুুয়া থানা ওসি আলী হোসেন বলেন, ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। অন্য আসামীদের ধরতে এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।