মজিবুর রহমান:
নেত্রকোণার কেন্দুুয়ায় শাপলা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনাটি আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে উপজেলা মোজাফরপুর ইউপির গগডা ভূঁইয়া পাড়া গ্রামে ঘটে।
এঘটনায় নিহতের স্বামী মোখলাদ (৩৫), দেবর মোজাহিদ (২৫) আটক করেছে থানার পুলিশ।
নিহতের পরিবারের সুত্রে জানা গেছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে মাসকা ইউপির কীর্তনখোলা গ্রামের মতি মিয়া কন্যা শাপলা আক্তার সাথে একই উপজেলার মোজাফরপুর ইউপির গগডা ভূঁইয়া গ্রামের বিদেশ ফেরত মোখলাদ মিয়া (৩৫) বিয়ে হয়।
বিয়ের পর দাম্পত্যজীবন ভাল গেলেও সম্প্রতি নিহত শাপলার স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায় স্বামীর এক ভাগিনা। এই বিষয়টি প্রায়শই কথার কাটাকাটি হতো।
নিহতের ভাই শফিকুল জানান, সকাল ৬টার দিকে তার বোনের জামাই ফোন করে জানায় শাপলা আগুনে গুরুতর আহত হয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ছুটে যায় বোনের বাড়িতে। তাকে প্রথমে নিহতের মৃতদেহ দেখাতে দেয়নি স্বামীর বাড়ির লোকজন। পরে তাদের বাড়ি থেকে আরো লোকজন ও পুলিশ গেলে তারা লাশ দেখার সুযোগ পান।
শফিকুল আরো জানান, তার বোনে মাথা ফাটা, মগজ অন্যত্রে পড়ে ছিল। রক্তে সারাঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখছেন তারা। তার ধারণা বোনের চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার নিয়ে তাকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে স্বামীর বাড়ির লোকজন। না হলে পুড়ে মারা গেলে রক্ত ও মগজ ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে কেন?
এদিকে নিহতের আটক স্বামীর মোখলাদ সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিলেন না। স্বামী-স্ত্রী এক সাথে ফজরের নাম পড়েছেন। ভোরে তিনি হাওড়ে চলে যান। স্ত্রী মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এসেছেন এমন দাবী করেন।
কেন্দুুয়া থানার ওসি আলী হোসেন জানান, গৃহবধূর উদ্ধারসহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহ নিহতের স্বামী ও দেবরকে আটক করা হয়েছে।