কেন্দুুয়ায় দুইদিনেও উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া ১১ গরু
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নেত্রকোণার কেন্দুুয়ায় চাঁদা না পেয়ে এক খামারির ১১ টি গরু লুটসহ একটি ফিসারী পুকুরের পাড় কেটে নদীতে মাছ ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ লুট হওয়া গরুগুলো উদ্ধার করতে পারেনি।
এঘটনাটি শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার রোয়াইলবাড়ির ইউপির আমতলা গ্রামে ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী খামারি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ঘটনার দিনেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বিবাদীদের বাড়ির পাশে ভুক্তভোগীর একটি গরুর ফার্ম ও ফিসারী পুকুর রয়েছে। ফার্ম ও ফিসারী পুকুরের ব্যবসার প্রতি হিংসা পরায়ণ হয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। এরই জেরে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ভুক্তভোগী খামারে গেলে বিবাদী রাজ্জাক ও হেকিম মেম্বার গংরা দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে দাবীকৃত টাকা চায়।
এসময় ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করলে তাকে ঘিরে ফেলে এবং খামারে প্রবেশ করে ১১টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। এসময় বেতাই নদীর পাড় ঘেঁষা একটি ফিসারী পুকুরের পাড় কেটে দেয় লুণ্ঠনকারীরা।
এতে খামারির প্রায় ২০ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আমার গরুগুলো লুট করে ও পুকুরের মাছ ছেড়ে দিয়ে আমার বাড়িঘর ঘেরাও হামলা করে। জসিম উদ্দিনের বসতঘর এবং হাবিবুরের গরুর ফার্মের ঘরে হামলা ভাংচুর করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার পায়তারা চালাচ্ছে। ঘটনার দুইদিন পার হলেও এখনো লুট হওয়া গরুগুলো উদ্ধার হয়নি বলেও জানান তিনি।
এই বিষয়ে জানতে হেকিম মেম্বারের মুটোফোনে বার বার যোগাযোগ করেও মুটোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য তাজেল মেম্বারের মুটোফোনে কথা হলে তিনি বলেন এই বিষয়ে এলাকার মানুষজনের সাথে কথা বললেই জানতে পারবেন ঘটনা সত্য কি-না।
এব্যাপারে কেন্দুুয়া থানার ইন্সিপেক্টর তদন্ত আশরাফুল আলম জানান,অভিযোগটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে আর গরুগুলো এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।