
কেন্দুয়া সংবাদদাতাঃ তফসিল ঘোষনা না হলেও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমূল ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দৌড়ঁঝাপ শুরু হয়েছে। দোয়া ও সমর্থনের প্রত্যাশায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। গণসংযোগ করছেন হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্প্রটে। ছুটছেন সিনিয়র দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে লবিং করছেন। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই কেন্দুয়া উপজেলার ৮নং বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান। সমর্থন পেতে প্রতিনিয়ত করছেন এলাকায় গণসংযোগ। যাচ্ছেন নেতাকর্মীদের দ্বারে দ্বারে। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। ছাত্রজীবনেই আওয়ামীলীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। লেখা-পড়া ছেড়ে দেশগড়ার প্রত্যয় নিয়ে যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। দীর্ঘ ২১ বছর চাকরি জীবন শেষে ২০০৩ সালে সার্জেন্ট হিসেবে অবসরগ্রহণ করে পূঃরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হন কামরুজ্জামান। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি শোকরানা ঔষাধালয় নামে কেন্দুয়া বাজারে ঔষধের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে শোকরানা ঔষধালয় এর সুনাম ছড়িয়েছে কয়েকটি উপজেলা জুড়ে। তাছাড়া এলাকার বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন। এসব সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এলাকার ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও মসজিদসহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে লড়েছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালের ৩ জানুয়ারি কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের আব্দুল হান্নান মাস্টার ও মা মোছাঃ জায়েদা আক্তারের কোল আলোকিত জন্মগ্রহণ করেন। বহু গুণের অধিকারী মো. কামরুজ্জামান মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকেন সব সময়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ,বন্যা,ধর্মী উৎসবে এবং বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা কালে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ,বস্ত্র বিতরণ,নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানসহ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে থেকেছেন।
তার বাবা আব্দুল হান্নান মাস্টার সমাজসেবক ও মানবিক মানুষ ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে ৫১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে দীর্ঘ ৬ মাস তাঁর নিজবাড়িতে রেখে তাদের বরণ-পোষনে ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন বলে জানান কামরুজ্জামান। তিনি আরো বলেন,এবারের নির্বাচনে আমি দল থেকে মনোনয়ন চাইবো। আশা রাখি সার্বিক বিবেচনায় দলীয় মনোনয়ন পাবো। আর মনোনয়ন পেলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো।