
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বিষটোপে সেকান্দর ও সোলায়েমান নামের দুই ব্যবসায়ীর আড়াই শতাধিক হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনাটি রোববার সকাল ৯টার দিকে মাসকা গ্রামের কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কের সোয়েটার ফ্যাক্টরি সংলগ্ন মতিয়র রহমান চেয়ারম্যানে আমবাগানে ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত সেকান্দর মিয়া ও সোলায়েমান মিয়া গ্রামের বাসিন্দা। একই গ্রামের প্রতিপক্ষ হাঁস ব্যবসায়ী বাদল ও বাকি’র বিরুদ্ধে হাঁসগুলো মেরে ফেলার অভিযোগ করছেন ক্ষতিগ্রস্ত সেকান্দর মিয়া।
সুত্র জানায়, মাসকা গ্রামের সেকান্দর মিয়া, সোলায়েমান মিয়া, বাদল মিয়া ও বাকি মিয়া নামে চারজন মিলে প্রথমে হাঁসের ব্যবসা শুরু করেন। তাদের মাঝে বনিবনা না হওয়ায় এক বছর পূর্বে সেকান্দর মিয়া ও সোলায়েমান মিয়া এবং
বাদল মিয়া ও বাকি মিয়া পৃথক হয়ে যান।
বর্তমানে সেকান্দর মিয়া ও সোলায়েমান মিয়া সোয়েটার ফ্যাক্টরী সংলগ্ন মতিয়র রহমান চেয়ারম্যানের আমবাগানে খোঁয়াড় দিয়ে হাঁসের লালনপালন ও ব্যবসা পরিচালনা করেন।
রোববার সকাল ৮টার দিকে সোলায়েমানের ছেলে
আমিন মিয়া খোঁয়াড় থেকে ছাড়লে পাশে খাবারের স্থানে যায় হাঁসগুলো। সেখানে পূর্ব থেকে ছিটিয়ে রাখা ইঁদুর মারার গমের বিষটোপ খেয়ে হাঁসগুলো বিষক্রিয়া আক্রান্ত হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যা0lন কেন্দুয়া থানায় দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মাদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় ব্যবসায়ীদ্বয় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত সোলায়েমান মিয়া জানায়, সে সেকান্দর, বাদল ও বাকি মিলে প্রথমে হাঁসের ব্যবসা শুরু করেন। এক বছর হয় সে সেকান্দরকে সাথে নিয়ে ব্যবসা করছে আর তারা আলাদা হয়ে ব্যবসা করছেন। এরপর থেকে তাদের রেষারেষি শুরু হয়। তাঁর দাবী ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাদল ও বাকি মিলে ইঁদুর মারার বিষ মিশানো গম খাওয়াইয়া হাঁসগুলো মারা হয়েছে। চার হাঁসের মধ্যে এই পর্যন্ত আড়াইশ মারা গেছে। এখনও মরছে। এতে তাঁর লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে কেন্দুয়া থানায় দ্বায়িত্বে থাকা পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মাদ আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই। এটি একটি অমানবিক কাজ। ক্ষতিগ্রস্তের লিখিত অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত সহায়তা করা হবে।