খালিয়াজুরীতে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে মাছ ধরার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নে কেওরালা জলমহালের পাশে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ ওঠেছে এলাকার কিছু লোকের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার পাঁচহাট গ্রামের মো. আপনুজ্জামান আপন।

অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন- নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, খালিয়াজুরী সহকারী কমিশনার (ভূমি), দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা খালিয়াজুরী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিয়াজুরী থানা।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান গতকাল সোমবার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিষয়টি দেখার জন্য টিম পাঠানো হবে।

অভিযোগে জানা গেছে, নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার বয়রা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে কেওরালা জলমহালটি ছয় বৎসরের জন্য ইজারা নেয়। কিন্তু জলমহালের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য মো. আবদুস সামাদ জলমহালের পাশে ফসল রক্ষা বাঁধটি অবৈধভাবে কেটে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্থ করছে সরকারের শত শত কোটি টাকার হাওর রক্ষা বাঁধের। এই ফসল রক্ষা বাঁধের ওপরই নির্ভর করে বিশাল হাওরের কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি।

ফসল রক্ষার বাঁধ কেটে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ আহরণকারী মো. আব্দুল সামাদ বলেন, আমি বাঁধ কাটি নাই, জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করছি আর কিছু না।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এভাবে ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে যদি ভীম জাল দিয়ে মাছ ধরা হয় তাহলে মাছের যে পরিমাণ ক্ষতি হবে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে ফসলের। বেরি বাঁধের নিচে গভীর করে মাছ ধরার জন্য বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি করা হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।

খালিয়াজুরী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাসিব উল আহসান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাঁধটি সরজমিনে পরিদর্শন করার জন্য আজ মঙ্গলবার টিম পাঠানো হবে। তাছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।