গৃহবধূ হত্যার প্রতিবাদ ও খুনীদের ফাঁসির দাবিতে কেন্দুয়ায় বিক্ষোভ মানববন্ধন 

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৪

মজিবুর রহমানঃ
গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় ফাঁসির দাবিতে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলার সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজের সামনের সড়কে সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।

ফারজানা আক্তার শান্তার বাবা জুয়েল ভূঞা কান্না জড়িত হয়ে বলেন, বিনা কারণে পৈশাচিক নির্যাতন ও পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে মুরাদ । আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। আমার মেয়ের হত্যার বিচার দেখে যাতে আর কেউ এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায়।’

মানববন্ধনে নিহত ফারজানা আক্তার শান্তার বাবা জুয়েল ভূঞা, নিহতের চাচা গোলাম মোস্তফা ভূঞা খোকন, মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঞা, সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান খান মহসিন, সান্দিকোনা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত, বিএনপি নেতা আবুল বাসার, যুবদল নেতা আসাদুজ্জামান বাবুল, সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজর শিক্ষক শাহজাহান কবীর, মাতৃচায়া একাডেমির পরিচালক মাওলানা আলমগীর হোসেন, হলিচাইল্ড কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক ইলিয়াস কাঞ্চন সুজন, নিউ সান রাইজ কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম ভূঞা বাদলসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও ঘাতক স্বামীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধনে শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

প্রসঙ্গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে শেরপুর জেলা শহরের গরুহাটি এলাকায় ভাড়া বাসায় ফারজানা আক্তার শান্তাকে গলাটিপে হত্যা করে সদর হাসপাতালে রেখে স্বামী নওশাদ আলম মুরাদ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা জুয়েল ভূঞা শেরপুর সদর থানায় মামলা করেন।

এ হত্যা ঘটনার পর থেকে আসামী মুরাদ পলাতক রয়েছেন।

আসামী মুরাদ কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের দলপা গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ৮ মাস আগে সান্দিকোনা ইউনিয়নের স্বল্প মাইজহাটি গ্রামের জুয়েল ভূঞার মেয়ে শান্তাকে বিয়ে করেন। তিনি শেরপুর সদরে এসিআই কোম্পানিতে কর্মরত থাকার কারণে ৬ মাস ধরে স্ত্রী শান্তাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।

শেরপুর সদর থানার ওসি মো. জুবায়দুল আলম বলেন, আসামীকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত আছে