জাতীয় সংসদ -১৬০ (নেত্রকোণা-৪) আসনে এমপি হলেন সাজ্জাদুল হাসান
তিনি আমলা হলেও এই মাটিরই সন্তান। গ্রামে থেকেই বেড়ে উঠেছেন। সুখে-দুঃখে সবার পাশে থাকতে চান
নেজা ডেস্ক রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদের ১৬০ নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাজ্জাদুল হাসান।
জেলা নির্বাচন অফিসে সোমবার বিকাল চারটায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাজ্জাদুল হাসানকে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
এর গত ২৫ জুলাই মঙ্গলবার নির্বাচন অফিসের যাচাই বাছাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানের মনোনয়ন সঠিক হওয়ায় প্রত্যাহারের নির্ধারিত শেষ দিনে সংসদ সদস্য পদের ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ যে, সাবেক তিন বারের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য রেবেকা মোমিনের ১১ জুলাই মৃত্যুতে নেত্রকোনা-৪ মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী উপজেলা নিয়ে গঠিত এই শূন্য আসনে তফসিল অনুযায়ী উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী ২ সেপ্টেম্বর।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, জমা দেওয়ার শেষ দিনে নৌকার প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান মনোনয়নপত্র জমা দেন। আর কোন প্রার্থী না থাকায় ২৫ জুলাই শুধু একটি মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। আওয়ালীগের প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসানের মনোনয়নপত্রটি যাচাই-বাছাই করে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
সোমবার একমাত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ মনোনীত সাজ্জাদুল হাসানকে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
দলীয় কর্মীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিবের (পিএস-১) দায়িত্ব নেওয়ার পরই সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোনায় আলোচনায় আসেন। সাজ্জাদুল হাসানের বাবা প্রয়াত চিকিৎসক আখলাকুল হোসাইন গণপরিষদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
সাজ্জাদুল হাসান মুঠোফোনে বলেন, তাঁর বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি মহেশখলা ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ ভাটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত নর্থ সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর বাবাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়। তাঁর বাবা তখন মোহনগঞ্জের লোহিয়ার মাঠে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন। তাঁকেও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে হেনস্তা করা হয়। তিনি আমলা হলেও এই মাটিরই সন্তান। গ্রামে থেকেই বেড়ে উঠেছেন। সুখে-দুঃখে সবার পাশে থাকতে চান। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে চান।