জীবাষ্মজ্বালানিতে AIIB-এর বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে নেত্রকোনায় জেলেদের নৌকা র্যালি
নেজা ডেস্ক রিপোর্টঃ
জীবাষ্ম জ্বালানিতে এশিয়ান ইন ফ্রাস্ট্রাক চার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (AIIB) বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে আজ ২৪ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনায় এক জেলেদের র্যালী অনুষ্ঠিত হয় ।
আদর্শ সামাজিক প্রগতি সংস্থা, মাটি বাংলাদেশ, ক্লাইমেট চেঞ্জ নেটওয়ার্ক ইনগ্রেটার ময়মনসিংহ (সিসিএনজিএম), কোস্টাললাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্ট একশন নেট ওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটারনাল ডেব্ট (বিডব্লিওজিইডি)- এর যৌথ উদ্যোগে এই জেলে সমাবেশও র্র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলে ছাড়া ও বিভিন্ন পেশাজীবি এবং সর্বস্তরের শতাধিক সচেতন নাগরিক সমাজ অংশ গ্রহণ করেন।
সমাবেশ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাষ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহারবৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অনেকাংশে দায়ি। প্যারিসচুক্তি অনুসারে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে কয়লা ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানিসহ এলএনজির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে নবায়ন যোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের মধ্যদিয়ে দ্রুত তম সময়ের মধ্যে ন্যায্য ও সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তর করতে হবে। অন্যথায়, দুর্যোগ প্রবণ হাওড় এলাকাসহ সারা দেশের কৃষক, জেলে সহ সকল দরিদ্র মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আরও ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বক্তারা আরও বলেন, এশিয়ানইন ফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) হল একটি বহু পাক্ষিক উন্নয়নব্যাংক তথা বেইজিং৷ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বহু-পাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা যার লক্ষ্য এশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা কে সম্মিলিতভাবে উন্নত করা। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রথম তিন বছরের মধ্যে যত অর্থবিনিয়োগ করেছে তার মধ্যে ২০ শতাংশ বিনিয়োগই জীবাশ্ম (বিশেষ করে কয়লা এবং এলএনজি) জ্বালানি প্রকল্পে। দ্রুত গতিতে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য এই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারই অন্য তমদায়ি।
AIIB ২০১৭ সাল থেকেন আমাদের দেশে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। ২০২২ অব্দি ৫১০মিলিয়ন ডলার শুধুমাত্র জ্বালানি খাতেই বিনিয়োগ করেছে। এরা শুধু বিনিয়োগ করেনা আমাদের কে পারামর্শ ও দিয়ে থাকে। এই পরামর্শ আবার তাদের লাভের স্বার্থেই দেয়। AIIB ব্যাংক এর জ্বালানি খাতে এই (গ্যাস ও কয়লা) বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত নানা মুখি সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে যার প্রভাব দেশের কৃষক, জেলে সহ নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন যাত্রার উপর সব চেয়ে বেশি পড়ছে।
বিকল্প জ্বালানি তথান বায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়টি নিশ্চিত না-করার কারণে বাংলাদেশকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান খুঁজতে আমদানি করা জ্বালানির ও পরনির্ভর করতে হচ্ছে যা দেশের অর্থনীতি আর পরিবেশের জন্য শুধু ক্ষতিকরই নয়, বিপজ্জনকও বটে। কাজে এ সমাবেশ থেকে জীবাষ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়ন যোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের ব্যাপারে -এর প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়।