দুই মাসেও পৌঁছেনি বারহাট্টা শিক্ষা অফিসের রেজিঃ চিঠি
কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোণার বারহাট্টা শিক্ষা অফিসের কেরানির টেবিল হতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে সাংবাদিকের পাঠানো ডাক রেজিস্ট্রি চিঠি দুই মাসে পৌঁছেনি।
আজ ১৭ ডিসেম্বর ( রবিবার) দুপুরে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম কে আমার পাঠানো ডাক রেজি নং ( ৬০৭ নং ) চিঠিটি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আজ পর্যন্ত চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা । তাপস কান্তি দাস ছুটিতে আছে, সে আসলে জানা যাবে।
দৈনিক জননেত্র পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও দৈনিক ভোরের ডাকের উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ কামরুল ইসলাম রতন তথ্য অধিকার আইনে ১৫ অক্টোবর বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে রেজিস্ট্রি চিঠি প্রেরণ করেন।
যাহা ১৬ অক্টোবর শিক্ষা অফিস প্রাপ্ত হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর তাপস কান্তি দাস ও লতিকুর রহমান খাঁন রয়েছে। উক্ত চিঠিটি রহস্যজনক কারণে গোপন রেখেছেন এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে অবহিত করেননি ।
গত ১১ ডিসেম্বর সোমবার বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় একটি তদন্ত অনুষ্ঠান চলছিল। ময়মনসিংহ বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম কে আমার চিঠিটি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি চিঠি পাইনি।
দুই মাস পর আজ ১৭ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলামকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন আজও এই চিঠির কোন হদিস পাইনি। তবে তাপস কান্তি দাস ছুটি থেকে আসলে জানা যাবে রেজিস্ট্রি চিঠি কে রিসিভ করেছে।
স্মার্ট বাংলাদেশে দুই মাসে একটি টেবিল থেকে অন্য টেবিলে আসতে বিলম্ব কিংবা অবহেলার কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে কিনা প্রশ্ন করা হলে সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশে চিঠিটি কেন দীর্ঘদিন গায়েব হল তলিয়ে দেখা প্রয়োজন।
বারহাট্টা উপজেলা পোস্ট মাস্টার নূরনবী হোসেন বলেন, আমি রেকর্ড পর্যালোচনা করে জানতে পারি ৬০৭ নং ডাক রেজিস্ট্রি চিঠি ১৬ অক্টোবর বিতরণ করা হয়েছে । শিক্ষা বিভাগের কর্মচারী স্বাক্ষর দিয়ে চিঠিটি রেখেছেন।