দুর্গাপুরের বুরুঙ্গা সেতু যেন মরণ ফাঁদ

অতি দ্রুত সংস্কার করার আশ্বাস উপজেলা প্রকৌশলীর

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২৩

রাজেশ গৌড়:
নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরশহরের বুরুঙ্গা খালের উপর নির্মিত সেতু এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে পার হচ্ছে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী, ট্রাক-বাস সহ হাজার হাজার জনগন।

দুর্গাপুর থেকে পাশ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলায় যাওয়ার রাস্তার উপর একমাত্র সেতুটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ওই রাস্তার কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রানের ঝুকি নিয়েই সেতু পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা।

এ নিয়ে রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওভার লোড বালু ও পাথর নেয়া সহ ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে সেতুর পাটাতনের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যায়।

ভেঙ্গে যাওয়া অংশে এর আগেও সিমেন্ট ও সুরকি দিয়ে ঢালাই দেয়া হলেও বর্তমানে ভারী যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেতুর পাটাতনে পুনরায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবী সেতু মেরামত না হওয়ার আগ পর্যন্ত সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন বন্ধ রাখা।

ওই এলাকার বাসিন্দা সামছুল হক জানান, অত্র এলাকার হাজারো মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে এই সেতু পার হয়ে। সেতুর উপর দিয়ে বর্তমানে ওভারলোড বালু ও পথর নেয়ার কারনে সেতুটির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে গেছে।

দুই উপজেলার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী হাট নাজিরপুর বাজার, সামনে এইচএসসি পরীক্ষা, দ্রুত সংস্কার না হলে বাজারের মালামাল পরিবহন সহ বিপাকে পরবে শিক্ষার্থীরা।

বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ দুর্গাপুরে আসেন। সেতু সংস্কার না হলে চরম দুর্ভোগে পড়বে এই অঞ্চলের কৃষকেরা। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিয়ে আসতে কোন যানবাহন সেতু পার হতে পারবে না।

মাথায় নিয়ে বহন করতে হবে ধান চালসহ গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি। সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অল্প সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী খোয়াজুর রহমান জানান, বুরুঙ্গা সেতু ভাঙ্গার খবর পেয়েছি। ওই এলাকার বেশ কিছু সেতু ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে দুর্বল হয়ে গেছে।

বুরুঙ্গা সেতু পরিদর্শনের জন্য লোক পাঠিয়েছি। ওই সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্পের আওয়াতায় দেয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগি করা হবে।