নামাজ সংক্রান্ত জরুরি দুটি মাসআলা
ছবিযুক্ত টাকা নিয়ে নামাজ পড়া 🔹ছবিযুক্ত আইডি কার্ড নিয়ে নামাজ পড়া
ইসলামিক জার্নাল ডেস্কঃ
🔹ছবিযুক্ত টাকা নিয়ে নামাজ পড়া
🔹ছবিযুক্ত আইডি কার্ড নিয়ে নামাজ পড়া:
মাসআলা: টাকা-পয়সা ইত্যাদিতে মানুষের ছবি থাকে। এগুলো পকেটে নিয়ে নামাজ পড়লে কোনো সমস্যা নেই। নামাজ মাকরুহ হবে না। কারণ এই ছবিগুলো অনেক ছোট থাকে, যা মানুষের স্বাভাবিক দৃষ্টিতে পড়ে না। এখন বিভিন্ন অফিস বা প্রতিষ্ঠানের ছবিযুক্ত আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হয়। এসব আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে ছবি প্রকাশিত অবস্থায় নামাজ পড়া মাকরুহ। তবে পকেটে রেখে বা এভাবে রেখে যাতে ছবি প্রকাশ না হয়, নামাজ পড়লে মাকরুহ হবে না। (ফাতাওয়া শামী, ১/৬৪৮; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া, ১১/৯৭)
🔹নামাজে কোনোকিছুর ঘ্রাণ নেয়া:
মাসআলা: ইচ্ছাকৃত কোনোকিছুর ঘ্রাণ নিলে নামাজ মাকরুহ হয়ে যাবে। তবে অনিচ্ছায় ঘ্রাণ নাকে চলে গেলে সমস্যা নেই।
জুমার দিন বিভিন্ন মসজিদে দুআ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিরিয়ানীর প্যাকেট এনে একেবারে সামনের কাতারে রাখা হয়। কোনো কোনো মুসুল্লি তখন নামাজের ভেতরেই ইচ্ছাকৃত বিরিয়ানীর ঘ্রাণ নেন, এতে তার নামাজ মাকরুহ হবে। এজন্য উচিত হলো, কারও নামাজেই যাতে সমস্যা না হয় তাই খাবারগুলো আগেই ইমাম বা মুআজ্জিন সাহেবের কামরায় বা অন্য কোনো স্থানে রেখে দেয়া, যেখান থেকে খাবারের ঘ্রাণ মুসুল্লিদের নাকে এসে নামাজ মাকরুহ করে না দেয়।
এ ব্যাপারে আরও একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, কেউ কেউ জুমা বা অন্যান্য দিন কড়া ঘ্রাণের আতর মেখে মসজিদে আসেন। অনেকেই আতরের কড়া ঘ্রাণ সহ্য করতে পারেন না। তখন তার পুরো নামাজের খুশু-খুযুই নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমার কারণে যেন কারও নামাজে সমস্যা সৃষ্টি না হয় এদিকে লক্ষ রাখা চাই। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া, ১/১৬৭)
উমেদ প্রকাশ থেকে প্রকাশিত নামাজের ভুলত্রুটি বই থেকে।
সংকলন:
মাও: আবু তাহের নেত্রকোণী
প্রতিষ্ঠাতা, দারুল উলুম ক্বাওমি মাদ্রাসা।
ভূগী, পূর্বধলা, নেত্রকোণা।
নিয়মিত লেখক, ইসলামিক জার্নাল বিভাগ
নেত্রকোণা জার্নাল।