নির্বাচনী সভায় প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতি, শোকজ
কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থীর নির্বাচনী আলোচনা সভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারণা করেছেন প্রাইমারি স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে নজরে আসায় ওই শিক্ষকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আশিয়ল সরকারি প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ।
আগামী সংসদ নির্বাচনে জনসভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে সরকারিবিধি ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর ) সকাল ১০টায় নেত্রকোণা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের ইসলামী ঐক জোটের প্রার্থী মো. ইলিয়াসের বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার নুরুল্লার চর গ্রামে এ নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এতে ইলিয়াসের পক্ষে কাজ করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান শিক্ষক সাজ্জাদুল হক সবুজ।
ওই নির্বাচনী সভায় উপস্থিত এলাকাবাসী উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ইলিয়াস (ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী) খুব ভালো ছেলে। তাকে ধরে রাখতে হবে। ইলিয়াসের জন্য সবাই কাজ করবেন।’
বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদ পারভেজের নজরে আসে। পরে তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
বুধবার বিকেলেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা মো. মিজানুর রহমান খান ওই শিক্ষককে শোকজ করেন। আগামী দশ কার্য দিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ইসলামী ঐক জোটের প্রার্থী মো. ইলিয়াস তিনি তার বাড়িতে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযুক্ত আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ এর মোবাইল বন্ধ থাকায় উনার মতামত জানা যায়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্কমর্তা মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, জেলা প্রশাসন এ বিষয়টি আমাদের নজরে দিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ওই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি ও সরকারি চাকরি বিধি তিনি ভঙ্গ করেছেেন। গুরুতর অপরাধের জন্য দশ কার্য দিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, একজন সরকরি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন না। এটা সরকারি চাকরি বিধি ও নির্বাচনী আচরণবিধিরও লঙ্ঘন বলে জানান তিনি।