নির্মাণের একযুগ পেরোলেও যে পরিষদ কার্যালয়ে বসেননি কোন ইউপি চেয়ারম্যান
চেয়ারম্যান পরিষদে না আসায় সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই পরিষদটি সঠিক রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবনের দরজা জানালা। গরু ছাগলের বসবাসের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে জনগণের টাকায় নির্মিত এই আধুনিক অবকাঠামো।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদের ১৫ বছর আগে নির্মিত ভবনে এ পর্যন্ত নির্বাচিত কোনো চেয়ারম্যান এ কার্যালয়ে বসেননি।
এমনকি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার পরিষদে না বসে উপজেলার ফাজিলপুর বাজারে তার পল্লী চিকিৎসা চেম্বারে ইউনিয়নের দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফলে বিভিন্ন প্রয়োজনে ইউনিয়নের সেবাগ্রহীতা নাগরিকরা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত চেম্বারে গিয়েও পোহাচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ। এদিকে চেয়ারম্যান পরিষদে না আসায় সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই পরিষদটি সঠিক রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবনের দরজা জানালা। গরু ছাগলের বসবাসের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে জনগণের টাকায় নির্মিত এই আধুনিক অবকাঠামো।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মূলত নাগরিক সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়নের জন্য ইউনিয়নের মাঝখানেই নির্মাণ করা হয়েছিল এটি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় এলাকাবাসীকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪০টির মতো নাগরিক সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা। কিন্তু বিগত ১৫ বছরে সরকারের নির্মিত এ পরিষদে নাগরিক সুবিধা দেয়া দূরের কথা এ পর্যন্ত কোনো চেয়ারম্যানের পরিষদে বসে কাজ করার নজির নেই।
এ ব্যাপারে খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি রেল সড়কের পাশে থাকায় এখানে নাগরিকরা কোনো যানবাহন নিয়ে আসতে পারে না। যে কারণে নিজস্ব চেম্বারে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সমাধান না হলে প্রয়োজনে নোটিশের মাধ্যমে তার জবাব নেয়া হবে।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এর আগেও সংশ্লিষ্ট মেম্বারগণ বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছিল। আমি সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। যদি পরিষদে চেয়ারম্যান না বসে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।