নেত্রকোণায় চাঞ্চল্যকর স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় চোরাই মালসহ দু’চোর গ্রেপ্তার
নেজা ডেস্ক রিপোর্টঃ
নেত্রকোণায় চাঞ্চল্যকর স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় চোরাই মালসহ দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে গোপনসূত্রে প্রাপ্ত সংবাদ ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চুরির ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার চারুলিয়া (মাইজপাড়া) গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ ইমন মিয়া (২২)।পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বর্ণালংকারসহ সহযোগী অপর আসামি নেত্রকোণা সদর উপজেলার মেদনী বেগুনবাড়ী গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মোঃ স্বপন মিয়া (৩৪)কে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহফুজা বিনতে ওয়ালিদ নেত্রকোণা পৌরসভার সাতপাই প্রফেসর পাড়ায় গোমেদ আলীর বাসার নিচ তলার ভাড়াটিয়া। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় গত ১০ নভেম্বর রাতের খাবার খেয়ে ভাড়াটিয়া বাসাটি তালাবদ্ধ করে পরিবার নিয়ে বাসার দুতলায় তার ভাইয়ের বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পরেন। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার বড় ভাই মোঃ আবু সাঈদ ঘুম থেকে উঠে দেখে তাদের বাসার নিচ তলা ও ২য় তলার দরজা খোলা এবং বসত ঘরের জিনিস পত্র এলোমেলো। পরে সেখানে গিয়ে দেখে তাদের ওয়ারড্রফে রাখা ০২ টি স্বর্ণের বালা ওজন অনুমান ১ ভরি ০৮ , ০১ টি স্বর্ণের গলার হার, ওজন ১৪আনা, ০১ জোড়া ঝুমকা, ওজন ০৭ আনা, ০১ টি স্বর্ণের আংটি, ওজন ০৩ আনা, এবং একটি স্মার্টফোন চোর বা চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে।
বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে নেত্রকোণা মডেল থানায় এসংক্রান্ত একটা মামলা (নং-১৯, তারিখ -১৩/১১/২০২৩ ইং, ধারা- ৪৫৭/৩৮০ পিসি) রুজু করেন। পরে এসআই নুরুল ইসলাম নেতৃত্বে চোরাই মালামাল উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারের লক্ষ্যে একটি চৌকস অভিযানিক দল নিয়ে মাঠে নামেন।
পরে ১৩ নভেম্বর মোঃ ইমন মিয়াকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ইমন চুরির ঘটনা স্বীকার করে। আটককৃত ইমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ স্বপন মিয়া কে তার বসতবাড়ী হতে গ্রেফতার করে। এসময় তার বসত ঘর তল্লাশীকরে ০২ টি স্বর্ণের বালা, ০১ টি স্বর্ণের গলার হার, ০১ জোড়া ঝুমকা, ০১ টি স্বর্ণের আংটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোণা জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ লুৎফর রহমান জানান, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত স্বল্প সময়ে শেষ করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হবে।