নেত্রকোণায় বিকাশ–প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে বই উপহার পেল ২৯ টি প্রতিষ্ঠান
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বই পড়া আমাদের জীবনের একটা ধর্ম। বই পড়া ছাড়া কেউ জ্ঞান লাভ করতে পারেন না। যিনি যত বেশি বই পড়েন তিনি তত বেশি জ্ঞানী। আর যিনি যত বেশি জ্ঞানী তিনি তত বেশি স্মার্ট মানুষ। বই পড়ে মানুষ আলোকিত হয়।
আলোকিত মানুষের মাধ্যমেই আলোকিত দেশ গড়ে উঠবে। সুতরাং বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই দেশের পাঠাগারগুলোকে সমৃদ্ধ করতে হবে। বিকাশ ও প্রথম আলো ট্রাস্ট বিভিন্ন পাঠাগারে বই বিতরণের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা পাঠক তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
বিকাশ ও প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে আজ বুধবার বিভিন্ন পাঠাগারে বই উপহার দেওয়ার অনুষ্ঠানে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক প্রধান কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ননী গোপাল সরকার এ কথা বলেন।
বেলা ১১টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় নেত্রকোনা কালেক্টরাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রথম আলো বন্ধুসভা জেলা কমিটি আয়োজিত বই প্রদান অনুষ্ঠানে ননী গোপাল সরকার ছাড়াও অতিথি ছিলেন প্রাবন্ধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, কালেক্টরাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু সরকার, কবি এনামুল হক, কবি তানভীর জাহান চৌধুরী, দৈনিক বাংলার নেত্র পত্রিকার সম্পাদক কবি কামাল হোসাইন, ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও জলসিঁড়ি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা দীপক সরকার প্রমুখ।
চলতি বছর সারা দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাঠাগার ও বৃদ্ধাশ্রমে মোট ১ লাখ ২০ হাজার বই বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিকাশ। তাদের এ উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। নেত্রকোনায় ২৯টি পাঠাগারের মাঝে ছোট-বড় মিলে ছয় হাজার বই বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর নেত্রকোনা প্রতিনিধি পল্লব চক্রবর্তী। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল নেত্রকোনা প্রথম আলো বন্ধুসভা।
বই উপহার পেয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পাঠাগারের প্রতিনিধিরা বিকাশ ও প্রথম আলো ট্রাস্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। পূর্বধলা উপজেলায় হাজি আমির উদ্দিন মুন্সি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম ও দুর্গাপুরের পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা সারওয়ার বলেন, উপহার পাওয়া বই তাঁদের পাঠাগারকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এ ধরনের উদ্যোগ পাঠাগার আন্দোলনকে এগিয়ে নেবে।