নেত্রকোণায় ব্রি ধান১০২ এর নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৫

পূর্বধলা, (নেত্রকোণা): নেত্রকোণায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে ব্রি কতৃক উদ্ভাবিত ধানের নতুন জাত ব্রি ধান১০২ এর নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে জেলার পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের বাদেবিন্না গ্রামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ব্রি নেত্রকোণার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ খালিদ হাসান সৌরভ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্রি, নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান মোঃ খালিদ হাসান তারেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্বধলা উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ ইকবাল সিজার, রাসনা আক্তার রুচি, ব্রি নেত্রকোণার বৈজ্ঞানিক সহকারী আনোয়ার হোসেন মন্ডল।

অনুষ্ঠানে ব্রি নেত্রকোণার বিভিন্ন পর্যায়ের
কর্মকর্তা কর্মচারী, সুধী সমাজ, সাংবাদিক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীগণ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, এলএসটিডি প্রকল্পের অর্থায়নে ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, নেত্রকোণা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তত্বাবধানে ব্রি’র অন্যান্য উফশী ধানের জাতের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন কৃষকের মাঝে গবেষণা ট্রায়ালের জন্য উফশী এ ধানের জাতের চাষ হয়েছে। এ বছর ধানের রোগবালাই ও পোকামাকড় কম থাকায় আশানুরূপ ফলনও হয়েছে।

স্হানীয় কৃষক আব্দুল জলিল আকন্দ জানান, তিনি এবার এক একর জমিতে ব্রি ধান১০২ চাষ করেছেন । অন্য ধানের তুলনায় অনেক বেশী ফলন হয়েছে। ব্রি নেত্রকোণার কর্মকর্তাগণ সকল ধরনের পরামর্শ ও তথ্য দিয়ে তাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ধান ও চাল বিক্রির পাশাপাশি বীজ সংরক্ষণ করবেন। অন্যান্য কৃষকদেরও তিনি এ ধানের জাত চাষ করার আহ্বান জানান।

এর আগে কৃষক আব্দুল জলিল আকন্দ’র জমিতে নমুনা শস্য কর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পরে তা মাড়াই করা হয়। সেখানে শতাংশ প্রতি প্রায় ১ মণ ফলন পাওয়া যায়। তিনি সহ উপস্হিত কৃষকগণ এ ফলন দেখে আগামীতে ব্রি ধান১০২ চাষে আগ্রহী হন এবং ব্রি’র কর্মকর্তাগণকে ধন্যবাদ জানান।

ব্রি নেত্রকোণার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান খালিদ হাসান তারেক জানান, ব্রি ধান১০২ ধানের চালের মধ্যে অধিক পুষ্টিমান এবং জিংক রয়েছে, যা গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য বিশেষ উপযোগী। এর চাল চিকন, চিটার পরিমাণ কম হয়। ধানের রং সোনালী উজ্জল বর্ণের। যাতে ৮-৯.৫ টন ফলন পাওয়া যায়। তিনি ভালো ফলন পেতে কৃষকদের ভবিষ্যতে এ জাতটি চাষের পরামর্শ দেন এবং এ সম্পর্কিত সকল প্রয়োজনে ব্রি পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।