নেত্রকোণায় মগড়া নদী রক্ষায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ

প্রকাশিত: ২:০৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণায় মগড়া নদীর দখল অপসারণ, নদী সংযোগ স্থাপন ও বর্জ্য ফেলা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক কে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

স্মারকলিপিতে জানা যায়, নদীটির উৎপত্তিস্থল ত্রিমোহনীতে নদীর মুখটি বন্ধ করে অপরিকল্পিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্লুইসগেট স্থাপন করায় এবং এলজিইডি পূর্বধলা-নেত্রকোণা সড়ক স্থাপন করায় নদীটি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে মগড়া নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে মৃতপ্রায়। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হওয়ায় পৌরসভার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শহরের মোক্তার পাড়া, মালনী, ছোটবাজার থানার মোড় এলাকায় মগড়া নদী দখল করে আছে। এছাড়াও, পূর্বধলা উপজেলা, নেত্রকোণা সদর উপজেলা, আটপাড়া উপজেলা ও মদন উপজেলার নদীর অংশ কৃষি জমি হিসেবে দখল হচ্ছে।

নেত্রকোণার মোক্তারপাড়া, থানার মোড়, আনন্দ বাজার মোড়, পুরাতন হাসপাতাল রোড, চন্দ্রনাথ স্কুলের পশ্চিম পাশে নিম্নউচ্চতা সম্পন্ন সেতু নির্মাণ করায় নদীটিতে নৌ-চলাচল বন্ধ রয়েছে। নেত্রকোণা পৌরসভা কর্তৃক বর্জ্যা সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না হওয়ায় পৌর বর্জ্য মগড়া নদীতে ফেলে নদীটিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। ফলে মগড়া নদীর পানি দূষিত হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, হারিয়ে যাচ্ছে মাছ।

মগড়া নদী রক্ষায় স্থানীয় অধিবাসীরা বেশ কয়েকবার মানববন্ধন করলেও প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

মগড়া নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে, ত্রিমোহনী বাঁধের দুই পাশের নদীসংযোগ স্থাপন করতে নদীতে পৌরবর্জ্য ফেলা রোধে এবং সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে নদীটির উপর থাকা সকল দখল অপসারণে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা ও আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এআরএফবি, পরিবেশ বাদী সংগঠন পরিবেশ ও বিশিষ্টজনের সমন্বয়ে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসককে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ, এআরএফবি চেয়ারম্যান দিলওয়ার খান, সেক্রেটারী চন্দন নাথ চৌধুরী, এডাব নেত্রকোনা জেলার সেক্রেটারি, কেএম এ জামী,কবি ও উন্নয়ন কর্মী দেলোয়ার হোসেন মাসুদ, কাউসার আলম খান রনি, টিএনইউএস নির্বাহী পরিচালক ফারহানা সুলতানা লিনুসহ পরিবেশ ও বিভিন্ন সংগঠনের সমাজকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।