নেত্রকোণায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিজয় একাত্তর সম্মাননা – ২০২২ প্রদান
নেজা ডেস্ক রিপোর্টঃ
নেত্রকোণায় চারজন শহীদ বুদ্ধিজীবীকে মরণোত্তর ও একটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে “বিজয় একাত্তর সম্মাননা – ২০২২” প্রদান করা হয়েছ। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর’২৩) সন্ধায় নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা বিজয় একাত্তর এ সম্মাননার আয়োজন করে।
নেত্রকোণার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব চিন্ময় তালুকদারের সঞ্চালনায় ও বিজয়র একাত্তর ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ননী গোপল সরকারের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশিক নুর, নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম খান, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক আহমেদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আককাস আহমেদ, নেত্রকোণা সদর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আইয়ুব আলীসহ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।
এসময় চারজন শহীদ বুদ্ধিজীবি শহীদ ড. ফজলুর রহমান, শহীদ অধ্যাপক আরজ আলী, শহীদ প্রধান শিক্ষক কামিনী চক্রবর্তী ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলীকে মরণোত্তর এবং Bangladesh Muktijudho Research Institute, Australia এর সহযোগী প্রতষ্ঠিান বাংলাদেশ শহীদ স্মৃতি গবেষণা কেন্দ্রকে “বিজয় একাত্তর সম্মাননা – ২০২২” প্রদান করা হয়েছে।
মরণোত্তর সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, শহীদ ড. ফজলুর রহমান :
শহীদ ড. ফজলুর রহমান খান একজন শিক্ষাবিদ। তিনি শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও রাজাকার সংগঠন আল বদর ও আল শামসের হাতে নিহত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে তিনি একজন। ফজলুর রহমান খান জন্মগ্রহণ করেন নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার কাজিয়াটি গ্রামে। তার পিতার নাম আব্দুল হাকিম খান এবং মাতার নাম ফিরোজা খাতুন। তিনি মোহনগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ভর্তি হন মযমনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে, এবং সেখান থেকে ১৯৫৮ সালে আই.এসসি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি.এসসি. (স্নাতক) ও ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে পরের বছরই মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে পিএইচডি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিলে, তিনি জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর রাতে পাকিস্তানি সেনারা ইকবাল হলের (বর্তমান জহুরুল হক হল) আবাসিক শিক্ষকদের বসবাসের ভবনের নিজ শয়ন কক্ষে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। প্রায দেড় দিন সেখানে পড়ে থাকার পর ২৭ মার্চ কারফিউ শিথিল হলে তার পরিবারের সদস্যগণ তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে সমাধিস্থ করেন। ১৯৭৫ সালে মোহনগঞ্জ পৌরসভা ড, ফজলুর রহমানের নামে মোহনগঞ্জ পৌরসভার প্রধান রাস্তাটির নামকরণ করে। ডাক বিভাগ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এ বুদ্ধিজীবীর ছবি দিয়ে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করে। ড. ফজলুর রহমান এর ছবি দিয়ে একটি স্মারক খাম একই সালে প্রকাশ হয়েছিল ।
শহীদ মেহের আলী : তিনি ১৯৪১ সালে নেত্রকোণা মিনিসিপ্যালেটির ইসলামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আক্তার আলী, মাতার নাম তুলাজান বিবি। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক, তাঁর যোগ্য সহধর্মিনী ছিলেন রওশন আরা চৌধুরী। তিনি দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাস করার পর নেত্রকোণা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। উল্লেখ্য তিনি ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষার দাবীতে আন্দোলন করেন। অত:পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে এমএসসি কোর্সে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. ফজলুর রহমানের একজন প্রিয় ছাত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা, নেত্রকোণায় সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সংগঠন “ছাত্রসংস্থা”-র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উদ্যোক্তা(যখন দেশে সামরিক আইনের কারণে রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল তখন এই গোপন সংগঠনটি গড়ে তোলা হয় যার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হতো),নেত্রকোণা মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন),জেলা শ্রমিকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,নেত্রকোণা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম স্থপতি, মধুমাছি কচিকাঁচার মেলার প্রধান উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক,যুবজাগরণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিএবং জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম ও কৃষিবিষয়ক সম্পাদক’৭১ পর্যন্ত ছিলেন। তিনি নেত্রকোণা মুক্তিসংগ্রাম পরিষদ ও মহেষখলা ইয়ুৎ ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য(ছাত্র ও যুবনেতাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত) হিসেবে দায়িত্ত পালন করেন। মেহের আলী ৫৯,৬০,৬২,৬৪,৬৬,৬৯,৭০,৭১ তথা যাটের দশকের প্রতিটি রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জের বহু ছাত্র-যুবককে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য মহেশখলা ক্যাম্পে প্রেরণ করেন।পাশাপাশি শত শত মণ ধান, চাল, গরু ছাগল, মাছ, হাস,মুরগীসহ, অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করে মহেষখলা ক্যাম্পে পাঠান । নেত্রকোণা পৌরসভা ১৯৯৮ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামে অজহর রোডের মোড় থেকে পূর্বদিকে ইসলামপুর পর্যন্ত এই রাস্তাটির নামকরণ করেছে – মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলী সড়ক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি আততায়ীর গুলিতে শাহাদাৎ বরণ করেন।
শহীদ প্রভাষক আরজ আলী : দুর্গাপুরের গুজিরকোণার কুখ্যাত দালাল কিতাব আলীর কু-পরামর্শে একাত্তরের ১৩ আগস্ট পাকিস্তানি সেনারা নেত্রকোণা কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক আরজ আলী সাহেবকে কলেজের শিক্ষক হোস্টেল থেকে তাঁকে আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেনারা ১৬ আগস্ট তাঁকে হত্যা করে। এর আগে তাঁকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুসিক অত্যাচার করা হয়। মো. আরজ আলীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানিরা অভিযোগ এনেছিল যে তাঁর গ্রামের বাড়িতে মুক্তিবাহিনী লুকিয়ে ছিল। ১৬ আগস্ট বেলা ১০টায় দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর তীরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে এ ব্যাপারে আবার জিজ্ঞাসা করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জি সি দেবের ছাত্র। মিথ্যা বলতে শিখিনি।’ তার পরেই পাকিস্তানিরা তাঁকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।এ ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায় তাঁর বোন আরশেদা বেগমের রচনায়। তিনি লিখেছেন, ‘ভয়াবহ একাত্তরের ১৩ আগস্ট। সন্ধ্যাবেলা। আরজ ভাইকে প্রফেসর হোস্টেল থেকে ধরে মিলিটারি ক্যাম্পে নেওয়া হয়। আমার এক মামা, নাম ময়না। তিনি মিলিটারি ক্যাম্পের পাশে প্রাইমারি টিচার্স টেনিং কলেজের হোস্টেলে থাকতেন। তাঁর ঘর থেকে হায়েনাদের তাণ্ডব দেখা ও কথা শোনা যেত। মামা আমাকে বলেন, “নিস্তব্ধ রাত। আকাশে বারবার বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। কী এক বীভৎস মর্মান্তিক দৃশ্য। আরজের পা দুটো বেঁধে ওপরে ছাদের রিংয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরনে আন্ডারওয়ার ভিন্ন আর কিছুই নেই। হানাদার বাহিনীর এক জল্লাদ আরজের গায়ে বেতের আঘাত করছে আর বলছে, শালা বল, মুক্তিদের কেন জায়গা দিয়েছিস, কেন ওদের খাবার দিয়েছিস, শুয়োরকা বাচ্চা। বেতের আঘাতে শরীর থেকে দরদর রক্ত ঝরছে। আর জল্লাদরা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে। আরজ ভাই বলেছে, সত্যি বলছি আমি কিছুই জানি না। আরজের কথায় হায়নার দল কর্ণপাত করছে না। ক্রমাগত অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। পরবর্তীতে আরজের আর্তচিৎকার শুনতে না পেয়ে তাকিয়ে দেখি ওর অবশ দেহটা স্থির হয়ে ঝুলে আছে। একপর্যায়ে আরজ ভাই সংজ্ঞা ফিরে পেলো। আবার বুটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে দিল তাঁর সারা শরীর এবং তাঁর মৃত্যু হয়। ”ডাক বিভাগ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এই বুদ্ধিজীবীর ছবি দিয়ে পৃথক স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করে। আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
শহীদ কামিনী চক্রবর্তী : শহীদ কামিনী কুমার চক্রবর্তী ছিলেন নির্লোভ, সদালাপী এক সহজ মানুষ। নেত্রকোণা শহরের চন্দ্রনাথ উচ্চবিদ্যালয়ে ইংরেজি ও গণিত পড়াতেন। শিক্ষার্থীদের নিয়ে লেখাপড়ায় মেতে থাকাই ছিল তাঁর প্রধান কাজ। ছাত্রদের কাছে খুব প্রিয় ছিলেন এই ‘কামিনী স্যার’। পড়ানোর ফাঁকে নিজে লেখালেখির চর্চা করতেন, অংশ নিতেন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজে। স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। কামিনী চক্রবর্তীর বাড়ি নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায়। জন্ম ১৯০৫ সালের ১ ডিসেম্বর। বাবা গৌরচন্দ্র চক্রবর্তী। কামিনী বাবু ১৯২২ সালে নেত্রকোণা দত্ত উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করেন। কলকাতা রিপন কলেজ থেকে ১৯২৪ সালে প্রথম বিভাগে আইএসসি, ১৯২৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৯৩৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি নেন। কিন্তু আইন পেশায় বা সরকারি চাকরিতে না গিয়ে তিনি গ্রামে ফিরে শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। গ্রামের মানুষদের শিক্ষার আওতায় আনা আপন কর্তব্য মনে করতেন তিনি। পাকিস্তানি হানাদাররা কামিনী চক্রবর্তীকে অমানুষিক নির্যাতন করেছিল। একাত্তরের ২৭ আগস্ট রাতে তাঁকেসহ আরও ২৫ জনকে পূর্বধলার ত্রিমোহনী সেতুতে নিয়ে যায় ঘাতকেরা। সেখানে হাত-পা, চোখ বেঁধে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করে। তারপর গুলি করে হত্যা করে মগড়া নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়। কামিনী চক্রবর্তীর পরিবার তখন প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে ভারতের শরণার্থী শিবিরে। স্থানীয় স্বজনেরা তাঁর মরদেহ খুঁজে পাননি। আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
বাংলাদেশ শহীদ স্মৃতি গবেষণা কেন্দ্র :
বাংলাদেশ শহীদ স্মৃতি গবেষণা কেন্দ্র (Bangladesh Muktijudho Research Institute,Australia”– এর সহযোগী প্রতষ্ঠিান) সংগঠনটি মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ও অন্যান্য আন্দোলন-সংগ্রামের শহীদ ও জীবিত বীর যোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন ইঞ্জিনিয়ার এম কে জামান। ১৯৭২ সালে নেত্রকোণা সদর থানার মালনী রোডে তার জন্ম হয়। ৯০ এর দশকে বাংলাদেশে কম্পিউটার শিক্ষা বিস্তার আন্দোলনে তার অবদান স্মরণীয়। তাঁর পিতা শহীদ মেহের আলী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। জনাব জামান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণায় অবদান রেখে চলেছেন। তিনি নেত্রকোণা চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। অত:পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হতে স্মাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এক পর্যায়ে তিনি অস্ট্রেলিয়া সিডনী বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি সিডনীতে অধ্যাপনা ও গবেষণা কাজে নিয়োজিত আছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত উক্ত সংগঠনটি সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও গবেষণায় নিয়োজিত আছে। এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়াতে “Bangladesh Muktijudho Research Institute,Australia”(BMRI)- এর ব্যানারে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বহির্বিশ্বে যোগাযোগ ও প্রচার কার্যে ভূমিকা পালন করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে মানুষকে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করবার জন্যে প্রতিষ্ঠানটি “Bangladesh Muktijudho Research Institute Silver Award” – নামে একটি পদক চালু করেছে।