নেত্রকোণায় সোমেশ্বরী নদী রক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা
কাওসার খান রনিঃ
নেত্রকোণায় সোমেশ্বরী নদী রক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় নেত্রকোণা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), এএলআরডি, এআরএফবি, ওয়াটার রাইটস ফোরাম।
বেলার নির্বাহী প্রধান বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ, নেত্রকোণা ৩১ ব্যাটেলিয়ন এর সহকারী পরিচালক আওয়াল হোসেন, নেত্রকোণা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক, নেত্রকোণা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারওয়ার জাহান, নেত্রকোণা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আবু সাইদ, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আল নূর সালেহীন।
এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেলা’র বিভাগীয় সমবয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ , বেলা’র হেড অব প্রোগ্রাম ফিরোজুল ইসলাম মিলন, বেলা’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এএমএম মামুন প্রমূখ।
এসময় সোমেশ্বরী নদী রক্ষায় উপস্থিতির মুক্ত আলোচনা অংশ নেন শিকড় উন্নয়ন কর্মসূচি’র পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম আপেল, দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হক, দূর্গাপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতাকালীন চেয়ারম্যান কামাল পাশা, দৈনিক জননেত্র সম্পাদক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা প্রেস ক্লাব নেত্রকোণা এম. মুখলেছুর রহমান, চ্যানেল আই নেত্রকোণা প্রতিনিধি জাহিদ হাসান, নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান, প্রথম আলো নেত্রকোণার জেলা প্রতিনিধি পল্লব চক্রবর্তী, শিক্ষক ও সমাজকর্মী বাঁধন খান ববি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (এআরএফবি) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়াম্যান দিলওয়ার খান। পরে সোমেশ্বরী দখল ও দূষণের উপর একটি প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইনজীবী, পরিবেশবাদী সংগঠন সহ অন্যান্যরা। তারা সোমেশ্বরী নদী বাঁচাতে করণীয় সম্পর্কে নানা দাবি উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সোমেশ্বরী নদীর জীববৈচিত্র্য, নদী ভাঙন, অবৈধ বালু উত্তোলন রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে , ভেজা বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। নদীও রক্ষা করতে হবে বালু উত্তোলন বন্ধ নয়, সঠিক উপায়ে বালু উত্তোলন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, মার্চ মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩৪ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে, ৮৪ টি মামলা হয়েছে, জরিমানা হয়েছে ২লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ১৫ দিন করে ২ জনের জেল হয়েছে। বালু মহাল সম্পর্কিত অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দূর্গাপুর পিসিনল মাঠের রাস্তায় ট্রাক চলাচলের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় তিনি সোমেশ্বরী নদী রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমি গতকাল দূর্গাপুর যাওয়ার পথে আমার একটা অভিজ্ঞতা তৈরী হয়েছে, পুরো এলাকাটাকে আমার নো মেন্স জোন বলে মনে হয়েছে। মানুষের সময়ের মূল্য আছে। ঐ জায়গাটুকু ঘুরে দেখে সেখানে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কোন আইনের প্রয়োগ আছে বলে আমার মনে হয়নি। থাকলে এমন অবস্থা হওয়ার কথা নয়। এসময় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।