নেত্রকোণা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ইতিহাস : বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
সর্বজনাব মেহের আলী, শামসুজ্জোহা, হায়দার জাহান চৌধুরী, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মতিউর রহমান খান, আশরাফ আলী খান (খসরু), গাজী মোশারফ হোসেন, হাবিবুর রহমান খান(খসরু), সাখাওয়াত হোসেন এর নেতৃত্বে নেত্রকোণার প্রথম শহীদ মিনারটি স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে
নেজা ডেস্ক :
ময়মনসিংহ জেলা ছিল স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের উর্বর স্থান। সেই সব আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু দত্ত উচচ বিদ্যালয়ের উত্তর পশ্চিম কোণে কাচারি রোডের সংযোগস্থলে তিন রাস্তার মোড়ে বর্তমান শহীদ মিনারের প্রধান গেইটের জায়গায় ১৯৬৪ সালে ষাটের দশকের নেত্রকোণার রাজনীতির প্রাণপুরুষ তৎকালীন নেত্রকোণা মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সর্বজনাব মেহের আলী(জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন পূর্বপাকিস্তান আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন), প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী শামসুজ্জোহা, জামাল উদ্দিন আহমেদ( জনাব মেহের আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবার পর সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়), হায়দার জাহান চৌধুরী, মতিউর রহমান খান,আশরাফ আলী খান (খসরু),গাজী মোশারফ হোসেন, হাবিবুর রহমান খান(খসরু), সাখাওয়াত হোসেন এর নেতৃত্বে প্রথম শহীদ মিনারটি স্থাপিত হয়। ইট, সিমেন্ট, বালি দিয়ে ত্রিভুজ আকৃতির শহীদ মিনারটি ডিজাইন করেছিলেন তৎকালীন ছাত্রনেতা রথীন ঘোষ ও বাদল মজুমদার।
সর্বজনাব মেহের আলী, শামসুজ্জোহা, হায়দার জাহান চৌধুরী, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মতিউর রহমান খান, আশরাফ আলী খান (খসরু), গাজী মোশারফ হোসেন, হাবিবুর রহমান খান(খসরু), সাখাওয়াত হোসেন এর নেতৃত্বে নেত্রকোণার প্রথম শহীদ মিনারটি স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে । ১৯৭২ সালে পুনঃনির্মিত স্থায়ী শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন নেত্রকোণা মহকুমা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব ফজলুর রহমান খান ।
পরবর্তী সময়ে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সমস্ত কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু ছিল এই শহীদ মিনার। ১৯৭১ সালে ২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা নেত্রকোণায় এসেই তাদের দোসরদের দিয়ে এই শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলে। স্বাধীনতার এক বছর পর ১৯৭২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে শহীদ মিনারের ধ্বংস্তুপের পাশে পৌরসভার ড্রেন সংলগ্ন জায়গাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম এরশাদুর রহমান, সম্পাদক হায়দার জাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল মজুমদার, গাজী দেলোয়ার হোসেন, আলা উদ্দিন খান, আঃ রহিম, জহিরুল হক হিরা, আঃ মান্নান তালুকদার, নির্মল কুমার দাস, উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, মোঃ আলী সিদ্দিকী, সমীর ভদ্র রানা, অজয় সরকার, বিদ্যুৎ সরকার, বাবুল জোয়ারদার, খন্দকার আনিসুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, ভোলা সাহা প্রমুখ।
দ্বিতীয় বারের মত অস্থায়ী কাগজের শহীদ মিনার তৈরী করে সাতদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আলোচনা সভা আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে স্থায়ী শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন নেত্রকোণা মহকুমা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সর্বজনাব ফজলুর রহমান খান । পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ রিলিফ কমিটির মাধ্যমে মাটি ভরাট করে শহীদ মিনারটির আধুনিক রূপায়ন সাধন করেন।
এই লেখকের লেখা আরও পড়ুন……
ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতি ও ৭১’- র মুক্তিযুদ্ধ : বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
শহীদ মেহের আলী একটি নাম, একটি ইতিহাস : বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
নেত্রকোণায় বঙ্গবন্ধু: বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক : বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
নেত্রকোণার রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ মরহুম জননেতা আব্দুল খালেক এমপি