নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান ভিপি লিটনকে প্রধান করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোনা সদর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা এলাকার মো. উজ্জ্বল মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

ওই মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, নেত্রকোনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নেত্রকোনা পৌর সভার সাবেক চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা প্রশান্ত কুমার রায়সহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা বাজারে গত ২৭ জুলাই বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে সংঘবদ্ধ আসামিরা নেত্রকোনা- মোহনগঞ্জ সড়কের সিংহের বাংলা রেলক্রসিং এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই সময় সিংহের বাংলা বাজারে কয়েকটি ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার তিন মাস পর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৯৯ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোনা সদর থানায় নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলা সিংহের বাংলা এলাকার মো. উজ্জ্বল মিয়া। ওই মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৩০ জনকে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এ নিয়ে গত ১৭ আগস্ট থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩৮টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে।

নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান লিটন ও প্রশান্ত কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ প৪াওয়া যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের এসব নেতারা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও নেত্রকোনা পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম খানসহ কয়েকজনকে পুলিশ আগের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। আসামিদেরকে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না।’