
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশে আগমন উপলক্ষে সভায় নেত্রকোণা থেকে অন্তত পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় অর্ধ-লক্ষাধিক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন।
শনিবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে জেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে জেলার দশ উপজেলার ৫টি পৌরসভা ও ৮৬টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ট্রেন বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে করে এ সমাবেশ যোগ দেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের মানুষও গিয়েছে সমাবেশস্থলে।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুর রহমান ভিপি লিটন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে শনিবারের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে নেত্রকোণা থেকে চারটি ট্রেন ও দুই শতাধিক বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। পর্যায়ক্রমে নেত্রকোণা থেকে ময়মনসিংহ সমাবেশস্থলে যোগ দেন নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ যে, দীর্ঘ ৪ বছর পর ময়মনসিংহে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে দলের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তিনি। এইদিন বেলা আড়াইটার দিকে সমাবেশের মঞ্চে উঠেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ময়মনসিংহে আগমন ঘিরে রাত থেকেই জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে যোগ দিতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে জামালপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা জেলা থেকে বিশেষ ৮টি ট্রেন চালু হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’- এমন স্লোগানে নেতা-কর্মীরা সার্কিট হাউজ মাঠে যোগ দিতে থাকেন। প্রিয় নেত্রীকে দেখার জন্য বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ছুটে আসেন। এতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে সার্কিট হাউস মাঠ।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণার পর ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর এখানে আসেন শেখ হাসিনা। সেসময় সার্কিট হাউজের জনসভায় ১০৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৯৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, মাত্র এক যুগ আগেও আর দশটা সাধারণ জেলার মতোই ছিল ময়মনসিংহের চিত্র। কিন্তু এ মহানগরীকে বিভাগীয় সদরে রূপান্তর, রাজধানীর সঙ্গে সুপ্রশস্ত চার লেনের সড়ক যোগাযোগসহ, শিক্ষাবোর্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়েছে। শুধুই কী যোগাযোগ অবকাঠামো। ময়মনসিংহ ঘিরে বৃহত্তর উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো এখন বাস্তবায়নের পথে। হালুয়াঘাট উপজেলার দুটি স্থলবন্দর গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী প্রস্তুত হয়েছে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে। এ দুটি স্থাপনা চালু হলে নতুন করে গতি পাবে এ এলাকাসহ পুরো দেশের অর্থনীতি।