নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পুলের স্টোরে আগুন, তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় অভিযোগ
দিলওয়ার খানঃ
নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চল্লিশা বাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিসংযোগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রক্ষিত প্রায় ৬ হাজার পুল রয়েছ তার মধ্যে প্রায় ২০ টি পুড়ে গেছে।
হরতাল ও অবরোধের সময় এই অগ্নি সংযোগ রহস্যজনক বলে মনে করছে অনেকেই।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে কে বা কারা পেট্রোল ঢেলে পল্লী বিদ্যুতেররক্ষিত পুলে স্টোরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এতে প্রায় ২০ পুল পুড়ে গিয়েছে।
নেত্রকোণা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তথ্য কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জিএম। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পুলের পরিমাণ প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভাড়া পুলের স্টোরটিতে একজন পাহারাদার রয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পুলের ষ্টোরে কেন এবং কিভাবে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে
এ বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেনা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, সরকারি সম্পত্তিতে কেন অগ্নিসংযোগ করেছে এই বিষয়টা আমরা তদন্ত কমিঠিগঠন করেছি। তারা তদন্ত রিপোর্ট দিলে বলতে পারব। এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলের অগ্নিসংযোগ কেন্দ করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে অনেকেই ইতিপূর্বে পল্লী বিদ্যুতের এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার রহস্যজনক।
নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাশের পুকুর থেকে কোটি টাকা মূল্যের ২২৯ মিটার পিভিসি কপার তার উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। (৩ মার্চ) বিকালে জেলা রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পল্লবিদ্যুৎ সমিতির পাশের পুকুর থেকে ৫০০ এম এম সাইজের এই মূল্যবান তাম্র তার তার উদ্ধার হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্টোরে অগ্নি সংযোগ পিবিসি কভার তার চুরি এ ঘটনায় স্থানীয়দের ধারণা এইসব কাজের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের যোগ সাজস রয়েছে।
নেত্রকোণা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: লুৎফুল হক জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লিখিত অভিযোগ দিলেই আমরা তদন্ত করে বিষয়টি আইনের আওতায় আনতে পারব। গভীর রাতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত করছি।