নেত্রকোণা ৫ আসনের সাংসদকে অপহরণের অভিযোগে মামলা

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২৩

দিলওয়ার খানঃ
নেত্রকোণা ৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের পরিবার এবং ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য তার ব্যক্তিগত সহকারী, গাড়ী চালকসহ একটি চক্র এমপিকে নিজ বাসভবন থেকে অন্য বাসায় নিয়ে আটকে রেখে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র ব্যবহার করে চাকরি দিবে বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করা এবং ভূয়া কাবিননামা তৈরী করে নাদিয়া আক্তার নামের এক মহিলাকে ভুয়া স্ত্রী সাজিয়ে এমপির অর্থসম্পদ আদায়ের চেষ্টা করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অপহরণের পরে  বিভিন্নভাবে খোঁজাখোঁজির এক পর্যায়ে চলতি বছরের ২৭শে মার্চ (সোমবার) বিকেলে এমপিকে ধানমন্ডির এক বাসা হতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরের দিন ২৮শে মার্চ (মঙ্গলবার) সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়ায় যান স্ত্রী রওশন হোসেন। পরে সুস্থ হয়ে ১১ আগস্ট দেশে ফিরেন।

এঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের স্ত্রী রওশন হোসেন বাদী হয়ে অপহরণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে বুধবার (২৩শে আগস্ট) নয় জনের নাম উল্লেখ করে ৩৪৪/৩৬৪/৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০০/৩৪ এবং পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় পূর্বধলা থানায় একটি মামলা (মামলা নং-৩১/২৭৪) দায়ের করেন।

মামলার এজহারে উল্লিখিত অভিযুক্তরা হলেন, নাদিয়া আক্তার (২৬), তাইফ (২০), ফেরদৌস আলম (৪২), সোলায়মান হোসেন, কামরুজ্জামান উজ্জ্বল,  নাদেরুজ্জামান স্বপন (৪২), রতন পাল (৩২) শাহ আলীম (৩০), শফিকুল ইসলাম (৪৫)। তারা সবাই এমপির ঘনিষ্ঠজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) রাতে সংসদ সদস্যের বাড়ি কাজলা হতে আসামিরা এমপিকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে এমপির বাসভবনে না নিয়ে অন্যত্র আটকে রেখে স্লো পয়জনিং শুরু করে এবং এমপির স্ত্রীকে জানায়, তিনি বিদেশ চলে গেছেন। কিন্তু এমপির স্ত্রী তাদের কথা বিশ্বাস না করে খোঁজা খোঁজি অব্যাহত রাখেন।

পরবর্তীতে অভিযুক্তরা ওয়ারেসাত হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে জাল তালাকনামার ফটোকপি স্ত্রী রওশন হোসেনের নিকট প্রেরণ করেন।

এমপি ও পরিবারের জনপ্রিয়তাকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষুণ্ন করার জন্য অভিযুক্তরা জাল কাবিননামা ডাকযোগে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের স্ত্রী রওশন হোসেন জানান, আমাদেরকে পারিবারিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে হেয় করা এবং অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য অভিযুক্তরা এহেন ঘৃণ্য কাজ করছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নিউজ পোর্টালগুলো মুল তথ্য না জেনে যেনো অপপ্রচারে লিপ্ত না হয়। সকল মিডিয়ার কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

মামলায় অভিযুক্ত সাংসদের এপিএস ফেরদৌস আলম জানান, আমাকে ও অপর এপিএস কামরুজ্জামান উজ্জ্বলকে গত ১৪ মার্চ পূর্বধলায় কতিপয় সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারাত্মক আহত করে। এখনো আমি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি আছি। এব্যাপারে আমি একটি মামলা করেছিলাম। সেই মামলাকে নস্যাৎ করার জন্য আবার নতুন অভিযোগে মামলা করেছে।

পূর্বধলা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।