নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রীর উপর হামলাকারীদের জামিন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনায় নারীদের প্রতি সহিংশতা বন্ধ ও যৌন নির্যাতনকারী বখাটেদের জামিন বাতিলের দাবিতে ছাত্র-জনতার এক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্কুল, কলেজের সাধারন ছাত্র,ছাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন স্বঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশ নেন।

ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতা আবদুর রহিম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেত্রকোনা আহবায়ক শেখ হাসনাত জনি, শাহ্ আলম, সাদিয়া আক্তার, মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, মুহাম্মদ আব্দুল মতোলিব খান, মিনহাজ সুহেল, মুহাম্মদ শাহ্ আলম প্রমুখ।

বক্তাগন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ৫ আগস্টের পর আর কোন বৈষম্য থাকবে না, আইনের শাসন কায়েম হবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। কিন্তু এখন মেয়েরা স্কুল, কলেজে যেতে পারছে না। বখাটেদের হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পদে পদে লাঞ্চিত হচ্ছে। ৮ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী প্রীতিকে বখাটেদের হামলা ও যৌন নির্যাতনে রক্তাক্ত জখল হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। মামলা করায় বাড়ি, ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গত এক সপ্তাহেও পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। কি ভাবে তাদের জামিন হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। দ্রুত তাদের জামিন বাতিল ও গ্রেফতার করে দৃস্টান্মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নইলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহ, সহস্য শহীদের রক্ত বৃথা যাবে।

নির্যাতিত প্রীতি আক্তার স্থানীয় আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে পৌর এলাকার পুকুড়িয়া গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার বখাটে ছেলে নাসিম (২২) প্রীতিকে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। কিন্তু নাবালিকা কিশোরী প্রীতি সারা না দেওয়ায় সে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। গত ২১ এপ্রিল বিকেলে নাসিম ও একই এলাকার তার তিন বন্ধু সুরুজ মিয়ার ছেলে ফয়সাল (২১), মকবুল মিয়ার ছেলে মাসুম (২২) ও আইয়ুব আলীর ছেলে সোনালীকে নিয়ে তাদের গতিরোধ করে প্রীতিকে বেধড়কভাবে প্রহার করে রক্তাক্ত জখম করায় সে অজ্ঞান হয়ে যায়।

এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত প্রীতিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। প্রীতির বোন সিমলা আক্তার বাদি হয়ে হামলাকারী চার বখাটেকে আসামি করে ওই রাতেই মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বখাটেরা ভোর রাতে প্রীতিদের বাসায় হামলা চালায়। পুলিশ গত এক সপ্তাহেও আসামিরে গ্রেফতার করতে না পারায় সাধারনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার আসমিরা নিম্ন আদালত কর্তৃক জামিন লাভ করায় তা বাতিলের দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।