
রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপনের জন্য পূর্বধলায় ম্যাট টাইপ চারা উৎপাদনের জন্য ট্রেতে বীজ বপন করা হয়। এতে করে এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে।
পিআইইউ-বিএআরসি, এনএটিপি-২ এর আওতায় পরিচালিত “ডিজাইন এন্ড ডেভেল্যাপ্মেন্ট অফ ফার্টিলাইজার ডীপ প্লেইস্মেন্ট মেকানিজম ফর এগ্জিস্টিং রাইস ট্রান্সপ্লান্টার (ডিএফএমআরটি)” উপ-প্রকল্পের আওতায় ম্যাট টাইপ ধানের চারা উৎপাদনের জন্য প্রায় ১২০০ প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজ বপন করা হয়, যার মাধম্যে প্রায় ৩৫ বিঘা জমিতে ধানের চারা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে রোপণ করা যাবে। প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফার্ম মেশিনারি এন্ড পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর সাথে আলাপ করে জানা যায় যে, উক্ত প্রকল্পের আওতায় একটি “রাইস ট্র্যান্সপ্লান্টার কাম সার প্রয়োগযন্ত্র” উদ্ভাবন করা হয়েছে। উদ্ভাবিত মেশিনে একই সাথে ধানের চারা রোপণ এবং সকল সার একসাথে প্রয়োগ করা যায়। কৃষক পর্যায়ে উদ্ভাবিত মেশিনটি অভিযোজনের জন্য আসন্ন আমন মওসুমে প্রকল্প এলাকায় (নেত্রকোণা, কুষ্টিয়া, রংপুর, হবিগঞ্জ এবং গাজীপুর) কৃষকের মাঠে পরীক্ষা করা হবে। তারই অংশ হিসাবে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। গবেষণায় দেখা গেছে, চাষাবাদে শক্তির ব্যবহার বাড়লে ফসলের ফলন বৃদ্বি পায়। তাই চাষাবাদে শক্তির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশের কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি এন্ড পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের বিজ্ঞানী ড. মো. আনোয়ার হোসেন “রাইস ট্র্যান্সপ্লান্টার কাম সার প্রয়োগযন্ত্র”টি উদ্ভাবন করেছেন। রাইস ট্র্যান্সপ্লান্টার কাম সার প্রয়োগযন্ত্রের সাহায্যে জমিতে ধানের চারা রোপণ ও সকল সার একসাথে প্রয়োগ করা যায় বিধায় কৃষকের অর্থ ও সময় সাশ্রয় করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে রোপণের উপযোগী চারা বিশেষ পদ্ধতিতে ট্রে’র মাধ্যমে চারা উৎপাদন করতে হয়। অত্যন্ত কম খরচ ও কম সময়ে অধিক জমিতে চারা রোপণ করা যায় এবং বীজতলা তৈরির জন্য আলাদা জমির প্রয়োজন নেই। ড. হোসেনের সাথে আলাপ করে জানা যায় যে, বীজ দেয়ার তারিখ (৪-৫ জুলাই, ২০২০) হতে ১৫-১৮দিন পরেই (২০-২৩ জুলাই, ২০২০) এই চারা রোপণ করা যাবে। মওসুম ভেদে এই যন্ত্রের সাহায্যে চারা রোপণ ও সার প্রয়োগ করে শতকারা ২০-৩০ ভাগ ইউরিয়া সাশ্রয় করা যায় বলে জানা যায়।